অপরাধ-আইন-আদালত

রপ্তানির আড়ালে ৩৮০ কোটি টাকা পাচার

  প্রতিনিধি ১৪ মার্চ ২০২৩ , ৬:২৫:১৯ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।রপ্তানির আড়ালে চার প্রতিষ্ঠানের জাল নথি তৈরি করে ১৭৮০টি চালানের বিপরীতে ৩৮০ কোটি টাকা পাচারের প্রমাণ পেয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর কাকরাইলে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক ফখরুল আলম এ তথ্য জানান।

ফখরুল আলম জানান,ঢাকার দক্ষিণখানের সাবিহা সাইকি ফ্যাশন নামের প্রতিষ্ঠান ১ হাজার ৭৮০টি চালানে ৯৯৭ টন মেনস ট্রাউজার,টি-শার্ট,বেবি সেট,ব্যাগ,পোলো শার্ট, জ্যাকেট,প্যান্ট ও হুডি রপ্তানি করেছে,যার মূল্য প্রায় ১৮ কোটি টাকা (১৮ লাখ ৪৫ হাজার ৭২৭ ডলার)।কিন্তু এ অর্থ দেশে আসেনি। সংযুক্ত আরব আমিরাত,মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর,সৌদি আরব ও নাইজেরিয়ায় এসব পণ্য রপ্তানি হয়।

সংস্থাটির মহাপরিচালক আরও বলেন,রাজধানীর রমনা থানার এশিয়া ট্রেডিং কর্পোরেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান ১৩৮২টি চালানের মাধ্যমে ১৪ হাজার ৮৫ টন টি-শার্ট,টপস,লেডিস ড্রেস রপ্তানি করেছে,যার মূল্য প্রায় ২৮২ কোটি টাকা (২ কোটি ৫৮ লাখ ২৬ হাজার ৮৬৬ ডলার)।কিন্তু এ অর্থও দেশে আসেনি।সংযুক্ত আরব আমিরাত,মালয়েশিয়া,সিঙ্গাপুর,কাতার ও যুক্তরাজ্যে এসব পণ্য রপ্তানি হয়।

রাজধানীর দক্ষিণখান বাজারের ইমু ট্রেডিং কর্পোরেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান ২৭৩টি চালানের মাধ্যমে ২ হাজার ৫২৩ টন টি-শার্ট,ট্রাউজার ও টপস রপ্তানি করেছে,যার মূল্য প্রায় ৬২ কোটি টাকা (৬৫ লাখ ৪ হাজার ৯৩২ ডলার)।কিন্তু এ অর্থও দেশে আসেনি।সৌদি আরব,সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মালয়েশিয়ায় এসব পণ্য রপ্তানি হয়।

ঢাকার উত্তরা তিন নম্বর সেক্টরের ইলহাম নামের একটি প্রতিষ্ঠান ৩৯টি চালানের মাধ্যমে ৬৬০ টন টি-শার্ট,ট্যাংক টপ ও লেডিস ড্রেস রপ্তানি করেছে,যার মূল্য প্রায় ১৭ কোটি টাকা (১৬ লাখ ৩৯ হাজার ৪৮৫ ডলার)।কিন্তু এ অর্থও দেশে আসেনি বলে জানান শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফখরুল আলম।

আরও খবর

Sponsered content