অপরাধ-আইন-আদালত

দুজন ব্যক্তি রমনা পার্কে এসে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে বোম আর গুলি ছুড়ে!

  প্রতিনিধি ১৪ এপ্রিল ২০২৩ , ৫:৫৪:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।।রাজধানীর রমনা বটমূলে হঠাৎ মুহুর্মুহ বোমা আর গুলির আওয়াজ।দুজন ব্যক্তি রমনা পার্কে এসে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে বোম আর গুলি ছুড়ে। নিস্তব্ধ হয়ে পুরো এলাকা।পরে রমনা বটমূলের পুরো এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট।

সিটিটিসির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা ওই দুই ব্যক্তিকে আত্মসমর্পণ করতে বলেন।তাদের কাছে থাকা বোমা শনাক্তে ছুটে যায় সিটিটিসির রোবট।দুটি অত্যাধুনিক রোবট শনাক্ত করে শক্তিশালী বোমা।এরপর ডগ স্কোয়াডের টিম সুইপিং করে পুরো রমনা পার্ক বোমামুক্ত করে।

ঘটনাটি বৃহস্পতিবার দুপুরের।তবে পুরো ঘটনাটি আসলে পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার মহড়া। মহড়ায় সিটিটিসির অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন রোবট যোগ দেয়।

সিটিটিসির বোম ডিজপোজাল ইউনিটের ইনচার্জ অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. রহমত উল্লাহ চৌধুরী বলেন,রমনা বটমূলে আয়োজিত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সার্বিক নিরাপত্তা জোরদারকরণে সিটিটিসির এসএজি কর্তৃক নিরাপত্তা মহড়া প্রদর্শিত হয়।নিরাপত্তা মহড়ায় সিটিটিসির ৩টি ইউনিট ‘সোয়াট, বোম ডিসপোজাল ইউনিট এবং কে-৯’ অংশ গ্রহণ করে।

তিনি বলেন,পহেলা বৈশাখ উদ্যাপনকালে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ডিএমপি কতটা তৎপর এটিই ছিল মহড়ার মূল প্রতিপাদ্য।একই সঙ্গে অস্ত্র বোমা বা যে কোনো ধরনের হুমকি জঙ্গি তৎপরতা নিমূলকরণে সিটিটিসি কতটা সমর্থ তারও একটি বার্তা প্রদান করে আজকের মহড়া।

বোম্ব ডিজপোজাল ইউনিটের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, মহড়ার প্রথমেই দুজন সন্ত্রাসী অস্ত্র হাতে গুলি ও বোমা ছুড়তে ছুড়তে রমনায় প্রবেশ করে।তাৎক্ষণিক সোয়াট সদস্যরা তাদের নিরস্ত্র করে এবং গ্রেফতার করে।অভিযানকালে সোয়াট সদস্যরা সেখানে আইইডির (শক্তিশালী বোমা) উপস্থিতি বুঝতে পারে।পরবর্তীতে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।

বোমটি অনেক শক্তিশালি হওয়ায় এবং ঘটনাস্থলে ধ্বংস করলে জান মালের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় বোম্ব ডিজপোজাল টিম আইইডিটি রোবটের মাধ্যমে নিয়ে নিরাপদ দূরত্বে নিষ্ক্রিয় করবে।

অভিযানে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্ন টিসিভি ব্যবহার করা হয়।যা যে কোনো ধরনের সিবিআরএন পদার্থ নিরাপদে বহন করতে সক্ষম।এছাড়া যে বোম্ব সুইট ব্যবহার করা হয় তা সর্বশেষ প্রযুক্তি সম্পূর্ণ।সম্পূর্ণ বোম অপারেশনটি অত্যাধুনিক রোবটের মাধ্যমে রিমোটলি পরিচালনা করা হয়। যা দেশের ইতিহাসে এ প্রথম।

সর্বশেষে কে-৯ (ডগ স্কোয়াড) এর একটি টিম ঘটনাস্থল সুইপিং করে এবং আরও একটি আইইডির সন্ধান পায়।যা পরবর্তীতে বোম ডিসপোজাল ইউনিট রোবটের মাধ্যমে নিষ্ক্রিয় করে।

আরও খবর

Sponsered content