প্রতিনিধি ২৮ এপ্রিল ২০২৪ , ৮:৩৮:৩৮ প্রিন্ট সংস্করণ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি।।ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রধান শেখ বিপ্লব- ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের ধুরুয়া গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষকে মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় ফাঁসাতে গিয়ে নিজেরাই ফেঁসে গেলেন দেবর-ভাবী।
থানা সূত্রে জানা যায়,শনিবার সকালে ধুরুয়া গ্রামের মোঃ আব্দুল সাত্তারের ছেলে আপেল মিয়া এক নারীকে নিয়ে থানায় আসেন দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলা দায়ের করতে। অভিযোগের ঘটনাটি সন্দেহজনক হওয়ায় গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন চন্দ্র রায় বিভিন্ন কৌশলে তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দেন ও এক পর্যায়ে মিথ্যা মামলায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর চক্রান্তের কথা স্বীকার করেন।পরে বিকালে দেবর-ভাবীকে আটক করেছে গৌরীপুর থানার পুলিশ।
মেয়েটি জানান-পূর্ব পরিচয় সূত্রে গাজীপুর থেকে তিনি গৌরীপুর ধুরুয়া গ্রামে সাদেক মিয়ার স্ত্রী বিউটি আক্তারের বাড়িতে বেড়াতে আসেন।মেয়েটির মা ও বিউটি একই সাথে গাজীপুর একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন।রাতে মেয়েটি বিউটি আক্তারের ঘরে ঘুমালে গভীর রাতে বিউটি আক্তার তাকে ডেকে তুলে বারান্দায় অন্য একটি কক্ষে নিয়ে যান।
এসময় বিউটির সহযোগিতায় তাঁর দেবর আপেল মিয়া, ফজল ও শাহীন তিনজন মিলে মেয়েটিকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন।বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে প্রতিপক্ষ রায়হানসহ তিনজনের নামে মামলা করতে বলেন বিউটি। পরে আপেলকে সাথে নিয়ে থানায় যায় মেয়েটি।
এদিকে ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে থানার ওসি তদন্ত মোঃ আল ইমরান একটি টিম নিয়ে ধুরুয়া গ্রামে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে লোকজনের সাথে কথা বলে রায়হানের সাথে বিউটি ও আপেলের বিরোধের বিষয়টি জানতে পারেন। তিনি রায়হানকে থানায় নিয়ে মেয়েটির মুখোমুখি করলে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসে।ঘটনা বেগতিক দেখে থানা থেকে এক ফাঁকে পালিয়ে যায় আপেল।পরে বিকালে অভিযান চালিয়ে বিউটি ও আপেলকে আটক করে পুলিশ, তাঁরা ধর্ষণের ঘটনাটি স্বীকার করেছেন।
গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন চন্দ্র রায় বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান-মেয়েটি বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলমান রয়েছে।অন্য অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।