অপরাধ-আইন-আদালত

প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে সিআইডির পরিচয়ে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়

  প্রতিনিধি ২৯ মার্চ ২০২৩ , ১:৪০:৩৩ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।ঢাকার সাভারে কর্মরত প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে তার বাসা থেকে আজ বুধবার ভোর চারটার দিকে সিআইডির পরিচয়ে তুলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

সিআইডির পরিচয় দেওয়া ব্যক্তিরা সাধারণ পোশাকে ছিলেন।সাংবাদিক শামসুজ্জামানের বাসা সাভারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে আমবাগান এলাকায়।তবে স্থানীয় পুলিশ ও সিআইডির ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বলছেন, তাঁরা এ বিষয়ে কিছু জানেন না।দৈনিক প্রথম আলো এ তথ্য জানিয়েছে।

তুলে নেওয়ার সময় ওই বাড়ির মালিককে ডাকেন সিআইডি পরিচয়ধারী ব্যক্তিরা।তাঁরা বাড়ির মালিককে বলেন, শামসুজ্জামানের করা একটি প্রতিবেদনের বিষয়ে রাষ্ট্রের আপত্তি আছে।তাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে নেওয়া হচ্ছে।

স্থানীয় এক সাংবাদিকসহ দুজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন,বুধবার ভোর ৪টার দিকে ৩টি গাড়িতে প্রায় ১৪–১৫ জন শামসুজ্জামানের বাসার সামনে যান।তাঁদের সাত থেকে আটজন বাসায় ঢোকেন।একজন শামসুজ্জামানের থাকার কক্ষ তল্লাশি করে তাঁর ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ,দুটি মুঠোফোন ও একটি পোর্টেবল হার্ডডিস্ক নিয়ে যান।১০ থেকে ১৫ মিনিট পর ওই ব্যক্তিরা শামসুজ্জামানকে নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় যান।

প্রত্যক্ষদর্শী বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, বটতলার নুরজাহান হোটেলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন,একজন নিরাপত্তাপ্রহরী,শামসুজ্জামানসহ তাঁকে আটককারীরা সাহ্‌রি খান।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় ওই সাংবাদিক বলেন,ভোর পৌনে ৫টার দিকে শামসুজ্জামানকে সঙ্গে নিয়ে আবার তাঁর বাসায় যান সিআইডি পরিচয় দেওয়া ব্যক্তিরা।দ্বিতীয়বার বাসায় যাওয়ার সময় আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাজু মণ্ডলকে দেখা গেছে।দ্বিতীয়বার বাসায় এসে তাঁরা জব্দ করা মালামালের তালিকা করেন।শামসুজ্জামানকে জামাকাপড় নিতে বলেন।কক্ষের মধ্যে দাঁড় করিয়ে তাঁর ছবি তোলা হয়।পাঁচ থেকে সাত মিনিটের মধ্যে আবার তাঁরা বের হয়ে যান।বাসা তল্লাশির সময় দুবারই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন উপস্থিত ছিলেন।

তবে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম কামরুজ্জামান বলেন,তিনি এ বিষয়ে এখনো কিছু জানেন না। তাঁরা কাউকে গ্রেপ্তার করেননি।

আজ সকাল ১০টার দিকে সিআইডির ঢাকা বিভাগের উপ-মহাপরিদর্শক মো. ইমাম হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন,সিআইডির ঢাকা বিভাগ তাঁর দায়িত্বে।তাঁর বিভাগের কেউ শামসুজ্জামানকে আটক করতে যায়নি।

আরও খবর

Sponsered content