অপরাধ-আইন-আদালত

গৃহপরিচারিকা সেজে বাসায় ঢুকে টাকা ও মূল্যবান স্বর্ণালংকার লুট

  প্রতিনিধি ৩ আগস্ট ২০২৩ , ২:২১:১৯ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।গৃহপরিচারিকা সেজে বাসায় ঢুকে দীর্ঘদিন ধরে টাকা ও মূল্যবান স্বর্ণালংকার লুট করে আসছিল সংঘবদ্ধ একটি চক্র।এ চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতারের পর বাকিদেরও ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পিবিআই ঢাকা মেট্রো (উত্তর) অফিস কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির বিশেষ পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম।

তিনি বলেন,গৃহপরিচারিকা সেজে বাসায় কাজ নিয়ে সুযোগ বুঝে কৌশলে গৃহকর্ত্রীকে অজ্ঞান করে বাসার নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেয়া চক্রের সদস্য মোসা. বিলকিস বেগম ওরফে কনা ওরফে রুজিনা ওরফে নুরজাহানকে (৪০) বুধবার (২ আগস্ট) কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে আটক করা হয়। পরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন,ছদ্মনাম ও ঠিকানা ব্যবহার করে ঢাকা শহরের বিভিন্ন বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অপরাধ কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল বিলকিস বেগম। তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের হাজংপাড়া গ্রামের ধোবাউড়া ইউনিয়নে।

তিনি বলেন,মনোয়ার আলী (৬৬) নামে এক ব্যক্তি হাতিরঝিল থানায় গত সেপ্টেম্বরে লিখিত অভিযোগ করেন, স্ত্রী ও গৃহপরিচাকে বাসায় রেখে অফিসে যান।পরে আমেরিকা থেকে তারর মেয়ে জানান তার মা ফোন ধরছেন না।তখন তিনি বাসায় গিয়ে দেখেন,তার স্ত্রী অজ্ঞান অবস্থায় বিছানার ওপর পড়ে আছেন।বাসার মালামাল এলোমেলো। গৃহপরিচারিকা বাসায় নেই।পরে তিনি জানতে পারেন, গৃহপরিচারিকা ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও একজন মিলে কৌশলে তার স্ত্রীকে অজ্ঞান করে নগদ সাড়ে চার লাখ টাকা ও একটি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়।

বিশেষ পুলিশ সুপার বলেন,থানা থেকে যথাযথ পদক্ষেপ না নেয়ায় পিবিআই ওই অভিযোগের তদন্তে নামে এবং বুধবার (২ আগস্ট) কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

তিনি বলেন,প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিলকিস বেগম এজাহারে বর্ণিত নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছে।এ ছাড়া শেরেবাংলা নগর থানা, ভাটারা থানা ও উত্তরা পশ্চিম থানায় একই অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আরও তিনটি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে,যা বর্তমানে বিচারাধীন।

সাধারণ মানুষকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে জাহাঙ্গীর আলম বলেন,যারা গৃহপরিচারিকা ও দারোয়ান নিয়োগ দেবেন,তারা যেন জাতীয় পরিচয়পত্র ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে তারপর নিয়োগ দেন।ব্যক্তিগত পর্যায়ে সচেতনতা তৈরি হলে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটবে না।

আরও খবর

Sponsered content