অপরাধ-আইন-আদালত

যা ইচ্ছা তা–ই করবেন-এটা তো হয়রানি-হাইকোর্ট

  প্রতিনিধি ১৯ জুন ২০২৩ , ৫:০৭:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।ঠিকানা নিয়ে তদন্ত করার অধিকার আছে উল্লেখ করে হাইকোর্ট বলেছেন,তাই বলে ৩২ বার।আর কতবার তদন্ত করবেন? যা ইচ্ছা তা–ই করবেন। এটা তো হয়রানি।একটি রিটের প্রাথমিক শুনানিতে আজ সোমবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের উদ্দেশে এ কথা বলেন।

দুই জেলার বাসিন্দা দেখিয়ে এক কর্মকর্তার চাকরি নেওয়ার অভিযোগ নিয়ে ৩২ বার তদন্ত শেষে আবার তদন্তের জন্য কমিটি গঠন ও কার্যক্রমের বৈধতা নিয়ে করা রিটের শুনানিতে আদালত এসব কথা বলেন।চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়া ওই রিট করেন।

পৃথক দুই জেলার দুটি ইউনিয়নে জন্মস্থান দেখিয়ে ভিন্ন জন্মনিবন্ধন সনদ ও জাতীয়তা সনদ গ্রহণ এবং পৃথক জেলায় গোপনে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ তদন্ত গত ১৪ মে চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেন।কমিটি গঠন ও এর কার্যক্রমের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে চলতি মাসে সুজন বড়ুয়া রিটটি করেন। শুনানি নিয়ে আদালত রুল দিয়ে ১৪ মে গঠিত তদন্ত কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ,সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান।

আদেশের পর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাঈদ আহমেদ বলেন, ‘সুজন বড়ুয়ার ঠিকানা একটাই, তিনি বর্তমানে বান্দরবানের বাসিন্দা।তিনি দুই ঠিকানা ব্যবহার করে পৃথক চাকরি নিয়েছেন—এমন অভিযোগের ওপর ইতিমধ্যে ৩২ বার তদন্ত হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ, পিবিআই ও দুদক পৃথক তদন্ত করেছে। প্রতিটি তদন্তে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।মীমাংসিত বিষয়ে আবার নতুন করে তদন্ত ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। হাইকোর্ট ৩৩তম তদন্তের কার্যক্রম স্থগিত করেছেন।’

রিট আবেদনকারীর আইনজীবীর তথ্যমতে,সুজন বড়ুয়া ২০০৪ সালের ৪ জুলাই স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে নিয়োগ পান। তখন তাঁর স্থায়ী ঠিকানা কক্সবাজার উল্লেখ করা হয়।তবে ২০১১ সালের ২৬ জানুয়ারি হলফনামার মাধ্যমে তাঁর স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন করে জমি কিনে বান্দরবানের বাসিন্দা হন।এরপর ২০১২ সালের ২২ অক্টোবর তিনি স্যানিটারি ইন্সপেক্টর হিসেবে নিয়োগ পান।সার্ভিস বইয়ে (পার্ট–২) দেখা যায়,বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে সুজন বড়ুয়া ২০১২ সালের ১৯ নভেম্বর ওই পদে যোগদান করেন।২০১৩ সালের ১০ ডিসেম্বর তিনি জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর হিসেবে নিয়োগ পান।২০১৬ সালের ২৭ জুন তাঁর চাকরি স্থায়ীকরণ হয়।২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর তিনি জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে পদোন্নতি পান।তবে রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় স্যানিটারি ইন্সপেক্টর পদে চাকরি গ্রহণের সময় তাঁর বিরুদ্ধে কক্সবাজার জেলায় নেওয়া চাকরি ও ঠিকানা গোপনের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে ৩২ বার তদন্ত হয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content