ব্যবসা ও বাণিজ্য সংবাদ

পাট কল চালুর দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

  প্রতিনিধি ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৪:২০:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।দেশের বন্ধ ২৬টি পাটকলের মধ্যে কমপক্ষে ১০টি চালুর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পাট চাষি ও পাট ব্যবসায়ী সমিতি।সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ পাট চাষি ও পাট ব্যবসায়ী সমিতি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুল আজিজ।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন,বাংলাদেশ জুট মিল করপোরেশনের (বিজেএমসি) অধীনে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ২৬টি পাটকল ২০২০ সালের ১ জুলাই নোটিশের মাধ্যমে বন্ধ করা হয়।এতে কলোনি ছেড়ে যার যার অবস্থানে চলে যেতে বাধ্য হয় শ্রমিকরা।কথা ছিল সাময়িক বন্ধ হয়ে তিন মাস পর আবার নতুন করে মিল চালু হবে।কিন্তু প্রায় সাড়ে তিন বছর পার হলেও কোনও মিল চালু হয় নাই।’

মো. আব্দুল আজিজ বলেন,সরকার বিভিন্নভাবে ব্যক্তি মালিকানায় (লিজ) দিয়ে মিল চালাতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে।অনেকে মিল লিজ নিয়েও উৎপাদন করছেন না। মিলগুলোর মেশিনে মরিচা পড়ে অকেজো হয়ে যাচ্ছে।অথচ এখনও মিলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বহাল আছেন।এমনকি কোনও কাজ না করেও সাড়ে তিন বছর ধরে বিজেএমসির প্রধান কার্যালয়সহ ২৬টি জুট মিলের প্রায় ৩০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রতি মাসে বেতন নিয়ে যাচ্ছেন।’

তিনি বলেন,বর্তমান অবস্থায় মিলগুলির লোকসানের সম্ভাবনা নাই।কারণ মিলে এখন কোনও স্থায়ী শ্রমিক নাই।নেই শ্রমিক সংগঠনগুলোর কোন কার্যতৎপরতা।মিলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও সতর্ক।চাকরি হারানোর আতঙ্কে আছেন।ফলে মিলের পরিবেশ শান্ত,নিরাপদ ও উৎপাদন সহযোগী।এ অবস্থায় যদি কিছু মিল অর্থাৎ তিনটি এলাকায় ১০টি মিল চালু করা হতো তাহলে মিল এলাকায় আবার কর্মচাঞ্চল্য ফিরে আসতো।উৎপাদন হওয়ার কারণে পাটের চাহিদা বৃদ্ধি পেতো।ন্যায্যমূল্য পেতো পাট চাষিরা।মিলের উৎপাদনের কারণে সরকারি বিভিন্ন সংস্থা তাদের প্রয়োজন মতো পাটপণ্য ফিরে পেতো।পরিবেশ পলিথিনমুক্ত হতো।ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা তাদের পুরোনো পেশায় ফিরতে পারতো।’

সংগঠনটির সভাপতি মো. হাসান আলী বলেন,জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত রাষ্ট্র বাংলাদেশ। জুন-জুলাই মাসে প্রচণ্ড খরার মধ্যে বিস্তৃত মাঠে সবুজ পাট গাছ বাতাসের কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে আবহাওয়ার ভারসাম্য রক্ষা করে।’

সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ‘অবিলম্বে ১০টি পাটকল সরকারিভাবে না খুললে পাটের বাজারে ধস নামবে।এই সোনালি আঁশ কৃষকের গলার ফাঁস হবে।যে পাট পাঁচ হাজার টাকা মণ ছিল,বর্তমান বাজারে তা এক হাজার ৫০০ থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাই সরকারের উচিত অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়া।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন সমিতির কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল মালেক ভূঁইয়া,মুজিব হোসেন চৌধুরী,নাদেম দত্ত, মো. মারফত, এনামুল হক বাবুল প্রমুখ।

আরও খবর

Sponsered content