ব্যবসা ও বাণিজ্য সংবাদ

প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকায়

  প্রতিনিধি ২৯ মার্চ ২০২৪ , ৪:৪৬:৩৮ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।রাজধানীর বাজারে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম।সপ্তাহ ব্যবধানে দাম কমেছে ২০ টাকা পর্যন্ত।
খুচরা পর্যায়ে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকায়।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) কেরানীগঞ্জের জিনজিরা ও রাজধানীর কারওয়ানবাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

গত বছরের ডিসেম্বরে (৭ ডিসেম্বর) অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিত্যপণ্যটির রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারত।এ নির্দেশনা ৮ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়।এর পরেই বাংলাদেশের বাজারে বাড়তে বাড়তে প্রতি কেজি ২৫০ টাকার ওপরে উঠে যায় পেঁয়াজের দাম।

তবে মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে উঠলে কমতে শুরু করে দাম। কিন্তু মুড়িকাটার সংকট দেখিয়ে ফের বাজার অস্থির করার চেষ্টা করে অসাধু সিন্ডিকেট।এরপর গত মাসে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে এবং হালি জাতের পেঁয়াজ বাজারে উঠতে শুরু করায় পড়ে যায় পেঁয়াজের দর।খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হতে দেখা যায় ৬০ টাকায়।

এদিকে নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ২৩ মার্চ বাজার নিয়ন্ত্রণে ভারত অনির্দিষ্টকালের জন্য পেঁয়াজ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।এতে আরও অস্থির হতে শুরু করে পেঁয়াজের দাম।গত সপ্তাহে রাজধানীর বাজারে পেঁয়াজের দাম ওঠে যায় ৭০ টাকায়।

কিন্তু বাজারে পুরোদমে হালি পেঁয়াজ ওঠায় ও বিশেষ ব্যবস্থায় ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আসার খবরে আবারও কমছে পেঁয়াজের ঝাঁজ।বর্তমানে রাজধানীর বাজারে খুচরা পর্যায়ে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকায়। আর পাইকারি পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৬-৪৮ টাকায়।

ক্রেতারা জানান,পেঁয়াজের দাম কমায় বাজারে কিছুটা স্বস্তি এসেছে।তবে দাম আরও কমা উচিত।

বিক্রেতারা বলেছেন,ফরিদপুরে হালি পেঁয়াজ পুরোদমে বাজারে উঠতে শুরু করেছে।এতে কমছে দাম।তাছাড়া ভারতীয় পেঁয়াজ আসার কথা রয়েছে।সেটি আসলে দাম আরও কমবে।

আড়ত পর্যায়ে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকায়।

আর আড়তদাররা জানান,বাজারে এখন চাহিদার তুলনায় বেশি পেঁয়াজ রয়েছে।যার প্রভাব পড়ছে দামেও।রাজধানীর কারওয়ানবাজারের মিনহাজ বাণিজ্যালয়ের মো. সেলিম মল্লিক বলেন,আড়ত পর্যায়ে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকায়।মূলত বাজারে ফরিদপুরের হালি পেঁয়াজের সরবরাহ ব্যাপক মাত্রায় থাকায়, দাম পড়ে গেছে।

তবে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির প্রসঙ্গে তিনি বলেন,সরকার ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ কিনবে শুনেছি।সেগুলো কবে আসবে ঠিক নেই। তাছাড়া সেসব পেঁয়াজ বিক্রি হবে ট্রাক সেলে।এর প্রভাব সরাসরি বাজারে পড়বে না।

এদিকে শুক্রবার (২৯ মার্চ) ভারত থেকে আমদানি করা ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ দেশে আসতে পারে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অধিশাখা) রেজওয়ানুর রহমান।তিনি বলেন,
প্রথম পর্যায়ে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ ট্রেনে করে দেশে আসছে। শুক্রবারের মধ্যে আসার কথা রয়েছে।অবশিষ্ট পেঁয়াজ পর্যায়ক্রমে আমদানি হবে।

জানা গেছে,দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ভারত থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।তবে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বাড়ায় দেশটির সরকার রফতানি বন্ধ করে দেয়।এতে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। পরে হঠাৎ করে পণ্যটির দাম অনেক বেড়ে যায়।

বুধবার (২৭ মার্চ) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানির একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের জানান,ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য ভারতের ন্যাশনাল করপোরেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেডের কাছ থেকে এই ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। সরকারই এই প্রতিষ্ঠানটিকে ঠিক করে দিয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content