ব্যবসা ও বাণিজ্য সংবাদ

সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ৩৫ টাকা বেড়েছে!

  প্রতিনিধি ২৭ এপ্রিল ২০২৩ , ৪:০৯:১৪ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।ঈদের আগে ব্রয়লার মুরগির দাম কমলেও ফের বাড়তে শুরু করেছে।সরবরাহ ঠিক থাকলেও সাত দিনের ব্যবধানে কেজিতে ৩৫-৪০ টাকা বেড়ে ২৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।ফলে পণ্যটি কিনতে ক্রেতাদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। পাশাপাশি সপ্তাহের ব্যবধানে চিনির দাম কেজিপ্রতি ৫-১০ টাকা বেড়েছে।এ ছাড়া পেঁয়াজ,আদা-রসুন,জিরা বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দরে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাওরানবাজার,শান্তিনগর কাঁচাবাজার,নয়াবাজারসহ একাধিক খুচরা বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

এদিকে এসব পণ্যের দাম বৃদ্ধির চিত্র সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দৈনিক বাজার পণ্যমূল্য তালিকায়ও লক্ষ্য করা গেছে।টিসিবি বলছে,সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ৩৫ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি চিনি সাত দিনের ব্যবধানে ২.১৩ শতাংশ বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৫.৮৮ শতাংশ, রসুন ৭.৬৯ শতাংশ,আদা ৩০ টাকা ও প্রতি কেজি জিরা ৪.৬২ শতাংশ বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর খুচরা বাজার ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে-বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ২৫০ টাকা,যা সাত দিন আগেও ২১৫ টাকা ছিল।

নয়াবাজারে মুরগি কিনতে আসা মো. শাকিল বলেন,ব্রয়লার মুরগি নিয়ে কী শুরু হয়েছে বুঝতে পারছি না।ইচ্ছা হলে বিক্রেতারা দাম বাড়াচ্ছে আবার কমাচ্ছে।কিন্তু বাজারে মুরগির কোনো সংকট দেখছি না।ঈদের আগে ২১০ টাকায় কেজি কিনেছি,কিন্তু ঈদের পর আবারো ২৫০ টাকা কেজি দরে কিনতে হচ্ছে।কিন্তু এই মুরগি আগে ১৫০ টাকায় কিনেছি। দেখার যেন কেউ নেই।

জানতে চাইলে মুরগি বিক্রেতা নূরে আলম বলেন,আমরা বিক্রেতারা যে দরে আনি কিছু লাভ রেখে বিক্রি করি।তবে ব্রয়লার মুরগির বাজারে এক ধরনের নৈরাজ্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে।বড় করপোরেট খামারিরা দাম নির্ধারণ করছে।সেই দামে বিক্রি হচ্ছে।পুরোবাজার মূলত তারাই নিয়ন্ত্রণ করে। রাতে কাপ্তান বাজারে তারা দাম নির্ধারণ করে।সেখানে তদারকি সংস্থা অভিযান চালালে প্রমাণ পাবে।আমরা খুচরা বিক্রেতারা কোনো ধরনের দাম বাড়াই না।

এদিকে রাজধানীর খুরচা বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১২৫-১৩০ টাকা,যা এক সপ্তাহ আগেও ১২০ টাকা ছিল।পাশাপাশি প্রতি কেজি দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা।সাত দিন আগে ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।প্রতি কেজি দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা, যা আগে ১২০ টাকা ছিল।আমদানি করা রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা,যা সপ্তাহ আগে ১৪০ টাকা ছিল।আমদানি করা আদা কেজিপ্রতি ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।সাত দিন আগে ২৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।জিরা বিক্রি হচ্ছে ৭২০ টাকা কেজি,যা সাত দিন আগে ৭০০ টাকা ছিল।

আরও খবর

Sponsered content