সারাদেশের খবর

ভূরুঙ্গামারীতে ইউ পি চেয়ারম্যানের হাতে সাংবাদিক লাঞ্চিত

  প্রতিনিধি ২৬ আগস্ট ২০২২ , ১২:১০:১৬ প্রিন্ট সংস্করণ

কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ-কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের সংবাদ সংগ্রহ করে ইউ পি চেয়ারম্যানের বক্তব্য নিতে গেলে অফিস কক্ষে সাংবাদিকদের ডেকে নিয়ে অবরুদ্ধ করে লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে আন্ধারীঝাড় ইউ পি চেয়ারম্যান জাবেদ আলী মন্ডলের বিরুদ্ধে।

বুধবার (২৪ শে আগষ্ট) দুপুর ২.০০ ঘটিকায় আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নের খামার আন্ধারীঝাড় ( নুরুর দিঘী) সংলগ্ন ফুলকুমার নদ হইতে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উওোলনের খবর পেয়ে আনোয়ার হোসেন আরিফ, সভাপতি- বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ভূরুঙ্গামারী উপজেলা শাখা, দৈনিক গনকন্ঠ পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি ও নগর টেলিভিশনের উপজেলা প্রতিনিধি ও আব্দুর রাজ্জাক, ভূরুঙ্গামারী রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি- দৈনিক সূর্যদয়ের উপজেলা প্রতিনিধি ও রফিকুল ইসলাম দৈনিক আজকের দর্পন, উপজেলা প্রতিনিধিসহ সরেজমিনে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে এলাকাবাসী জানায় দীর্ঘ দিন যাবৎ ফুলকুমার নদ হইতে ৭ নং আন্ধারীঝাড় ইউ পি চেয়ারম্যান জাবেদ আলী মন্ডল ও তার অনুসারি শাহাদাত হোসেন, খোকন মিয়া, আশরাফ আলী ও মন্টু মিয়াসহ বালু উত্তোলন করে আসছে।

উক্ত তথ্যের প্রেক্ষিতে সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন আরিফের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর- ০১৭৭২৪৩৪২১৪ হতে চেয়ারম্যানের ব্যাক্তিগত মোবাইল নম্বরে কল দিয়ে বালু উওোলনের বিষয় টি জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান জাবেদ আলী মন্ডল ইউনিয়ন পরিষদে সাংবাদিকদের আসতে বলেন।সাংবাদিকগন ইউনিয়ন পরিষদে আসার পর ইউ পি চেয়ারম্যান তার অফিস কক্ষে বসতে বলে অফিসের দরজা বন্ধ করে দিয়ে চেয়ারম্যানের সন্ত্রাস ও ক্যাডার বাহিনী, রফিকুল ইসলাম (৩৩), পিতাঃ আব্দুস সাওার, এরশাদ আলী (৩৫), পিতাঃ ইসমাইল হোসেন (৩৭), আব্দুল মজিদ মিয়া (৪৫), পিতাঃ জাবেদ মন্ডলসহ অজ্ঞাত ১০ হতে ১৫ জন নিয়ে সাংবাদিকদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।

এসময় ইউ পি চেয়ারম্যান জাবেদ আলী মন্ডল সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন আরিফের হাতে থাকা একটি এনড্রোয়েট মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে মোবাইল হতে প্রয়োজনীয় ভিডিও ও নিউজের গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট সহ ডিলিট করে দেয়। চেয়ারম্যানের হুকুমে রফিকুল ইসলাম (৩৩), এরশাদ আলী (৩৫), আব্দুল মজিদ মিয়াসহ জোর পূর্বক সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন আরিফের হাতে থাকা একটি (ডিএসএলআর) ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙে।

ধস্তাধস্তির পর্যায়ে এলোপাথারী কিল ঘুসি মারতে থাকে এবং পকেটে থাকা প্রয়োজনীয় কাগজ পএ জোর করে নিয়ে দেশী অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অশালীন ভাষায় গালি গালাজ করে ১ ঘন্টা যাবৎ অফিস কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন। তাৎক্ষণিক বিষয় টি ছড়িয়ে পড়লে প্রত্যক্ষদর্শী রাজু মিয়া (৩৫), এস এম নাহিন (৪০), রফিকুল ইসলাম (৫০) সহ স্হানীয় এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে।
উক্ত বিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হয়েছে।

এবিষয়ে ইউ পি চেয়ারম্যান জাবেদ আলী মন্ডলের কাছে জানতে, তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি নন।

আরও খবর

Sponsered content