লেখক ও কলামিস্ট এবং মন্তব্য কলাম:-

আমার স্বামী আমার উপর অসন্তুষ্ট হয়ে প্রায়ই নষ্ট নারীদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করে

  প্রতিনিধি ১৩ নভেম্বর ২০২২ , ৮:৫৩:৫৯ প্রিন্ট সংস্করণ

মাজহারুল ইসলাম।।স্ত্রী হিসেবে আমি আমার দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করতে পারছি না। সেটা আমি নিজেই বুঝতে পারছিলাম। কিন্তু আমার স্বামী আমাকে এর জন্য কখনো কিছু বলেনি। সে আমার অসুস্থ শরীর নিয়ে কিছু বলে আমাকে কষ্ট দিতে চায়নি।আমরা দুজনেই দু’জনকে অনেক ভালোবাসি।কিন্তু হঠাৎ শুনতে পেলাম।

আমার স্বামী আমার উপর অসন্তুষ্ট হয়ে প্রায়ই নষ্ট নারীদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করে। আমি নাকি তাকে সুখী করতে পারছিনা! তার বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে এই কথা ছড়িয়ে পড়লো। কথাটা শুনে প্রথমে আমার বিশ্বাস করতে কষ্ট হলো। ভাবলাম নিশ্চয়ই আমাদের সুখের সংসারে কারও নজর লেগেছে! তাই দুজনের ভালোবাসায় ফাটল ধরাতে প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে কেউ এমন কাজ করছে।

নিশ্চয়ই সে চাইছে আমাদের সুখের সংসারে আগুন লাগুক! আমরা আলাদা হয়ে যাই।

আমার স্বামী আমাকে অনেক ভালোবাসে। বিয়ের আগেই আমরা দুজনেই একে অপরকে পছন্দ করেছি। তারপর গভীর ভালোবাসা! পারিবারিক সম্মতি ছাড়াই দু’জনে বিয়ে করেছি। আমাদের মধ্যে ফাটল ধরানো এতো সহজ না।

কিন্তু তবুও কথাটা শোনার পর থেকে মনে শান্তি পাচ্ছিলাম না।

তাই অনুসন্ধান শুরু করলাম। দেখার জন্য জানার জন্য, সত্যি কি এমন কোন কিছু হয়েছে কি-না?

যেদিন প্রমাণ পেলাম ঘটনা সত্যি! সেদিন আমার খুব কষ্ট হয়েছে। তবুও তা চেপেই গেলাম। কিন্তু উপলব্ধি করলাম তার এখন আর আমার দিকে তেমন কোন আকর্ষণ নেই।ভাবি, তার কি দোষ? অসুস্থ মানুষের সাথে কার কতোদিন ভালো লাগে?

তাই দুজনেই একদিন মুখোমুখি বসে একটা সমাধান করার চেষ্টা করলাম।

বললাম আমি জানি তুমি আমার অসুস্থতা মেনে নিতে পারছো না। তাই বলে এমন ভাবে নিজেকে পাপের পথে ঠেলে দিবে?

সে মাথা নিচু করে জবাব দেয়, তবে আমার আর কি করার আছে? ওর কথা শুনে অবাক হলাম। জিজ্ঞেস করলাম আমাদের দুটি মনের ভালোবাসার কোন মূল্য নেই তবে?

সে আমার দিকে তাকিয়ে করুন স্বরে, আকুতি ভরা কন্ঠে বলে, নিশ্চয়ই আছে! কিন্তু শুধু মনের দিকে তাকিয়ে আমি আমার জীবনের সময়গুলো নষ্ট করতে চাই না। আমি তো যান্ত্রিক নই! তুমি সুস্থ হও আমি এসব বাদ দিয়ে দিবো।

জিজ্ঞেস করলাম যদি আমার অসুস্থতা এমনই থাকে? সে মাথা নিচু করে চুপ করে থাকে।

নিরবতা ভঙ্গ করে বললাম, আমি বলছি তুমি আরেকটা বিয়ে কর! আমি অনুমতি দিলাম। সে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে কিন্তু সমাজের লোকে কি বলবে?

বললাম যে যাই বলুক! তবুও তো পাপের পথ থেকে ফিরে আসবে। সেটাই আমাদের জন্য মঙ্গল! তুমি যে পথে আছো, সেটা অমঙ্গল বয়ে আনবে তোমার জীবনে।

আমি তোমাকে ভালোবাসি তাই এই সিদ্ধান্ত নিলাম।

কিছুদিন পরে স্বামী দ্বিতীয় বার বিয়ে করে নিয়ে এলো। আমি নতুন বউ বরণ করে বাড়ি থেকে চলে এলাম।

ভাবলাম এই ভালো হলো, আমার কারণে স্বামী পাপের পথে চলে যাওয়ার চাইতে আমি না হয় একটুখানি ভালোবাসার কথা ভেবে দূরে থাকবো।

আরও খবর

Sponsered content