লেখক ও কলামিস্ট এবং মন্তব্য কলাম:-

আপনি কি ভার্জিন?বাসর রাতে সদ্য বিবাহিত স্বামীর মুখে এমন কথা শুনে হতভম্ব হয়ে যায় রিয়া!

  প্রতিনিধি ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ , ১১:৩৯:২২ প্রিন্ট সংস্করণ

মাজহারুল ইসলাম।। আপনি কি ভার্জিন?বাসর রাতে সদ্য বিবাহিত স্বামীর মুখে এমন কথা শুনে হতভম্ব হয়ে যায় রিয়া।

তার মুখে কোনোই কথা নেই।ঘৃনার্থ চাহুনিতে শুধু একবার তাকালো তার স্বামীর দিকে।মাথাটা সাথে সাথে নামিয়ে নিলো। বাসর রাতে তার স্বামীর প্রথম প্রশ্নটা যে এমন হবে তা সে কখনো কল্পনাও করতে পারেনি।

রিয়াকে চুপ থাকতে দেখে রিয়াদ(রিয়ার স্বামী)আবার বলে উঠলো:-না মানে আজকালকের মেয়েরা তো বিয়ের আগেই বয়ফ্রেন্ডের সাথে রুমডেটে গিয়ে রুম কাপায়।একের পর এক বয়ফ্রেন্ড আসছে যাচ্ছে।কত জনের সাথে যে রুমে উঠলো তার হিসাবই হয়ত নেই তাদের কাছে।তাই কথাটা জিজ্ঞেস করলাম।তুমি সতী তো?

স্বামীর মুখে এমন কথা শুনে চোখের কোণে পানি চলে আসলো তার।এমন একটা নিচ মানসিকতার মানুষের সাথে তার বিয়ে হবে সে কখনোই ভাবতে পারেনি।এই হীন মানুষটার সাথেই তার সারাজীবন থাকতে হবে কথাটা ভাবতেই তার দু চোখ বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়তে লাগলো।

রিয়াকে চুপ থাকতে দেখে রিয়াদ আবার বলে উঠলো..কিছু বলছো না যে?নাকি তুমিও বিয়ের আগেই বয়ফ্রেন্ডের কাছে নিজের সতীত্ব বিলিয়ে দিয়েছ?কথাটা শোনা মাত্রই রিয়ার মাথায় রক্ত উঠে গেল।

কিন্তু নিজেকে সংযত করে বললো..আমার জীবনে আপনিই প্রথম পুরুষ।এর আগে দ্বিতীয় কোনো পুরুষ আসেনি।কথাটা শুনে তার স্বামীর মুখে স্পষ্ট হাসির ছাপ দেখতে পেলো রিয়া।

কিন্তু তার মনে শুধুই বিষন্নতা।বাসর রাত নিয়ে হাজারও কল্পনা ছিল রিয়ার।তার স্বামীর মুখে এমন কথা শুনে সব স্বপ্নই তার চুরমার হয়ে গেল।আজ তার মনে হচ্চে তার মনটা যেনো সমুদ্রের তীরে গড়া বালি দিয়ে কোনো ভাস্কর্য,যা সামান্য বাতাসেই ভেঙে পড়ে।

এমন ফালতু ছিল না?জীবনের কত কঠিন পরিস্থিতি সে দৃঢ়তার সাথে মোকাবেলা করেছে।কখনো সে হার মানেনি। ভেঙে পড়েনি।তবে আজ?রিয়ার মনে হাজারও ব্যাথা, হাজারও কথা বাসা বাঁধতেছে।

হঠাৎ লক্ষ করলো রিয়াদ বিছানার ওপরে সাদা তোয়ালে পারতেছে।কিছু বুঝতে না পেরে রিয়া জিজ্ঞেস করল..চাদর তো আছেই।আবার তোয়ালে পারার কি দরকার?

রিয়ার কথা শুনে একটা মুচকি হাসি দিয়ে রিয়াদ বললো দরকার আছে বৈকি?কাল সকালে বুঝতে পারবেন।রিয়ার সমস্ত মন জুড়ে শুধুই বিষণতা ছিল।তাই ব্যাপারটা নিয়ে না ভেবে শুয়ে পড়লো।

রিয়া সাধারণ ঘরের সাদামাটা একটা মেয়ে।পড়াশোনা শেষের পথেই।অন্যদিকে বড়লোক বাপের ছেলে রিয়াদ।পেশায় বেকার হলেও বাপের অঢেল সয়সম্পত্তি থাকায় রিয়ার বাবাকে বিয়ের প্রস্তাব পাঠালে সে এককথায় রাজি হয়ে যায়।বিরাট ধুম ধামের সাথে বিয়েটা শেষ হয়।তারপর পরের ঘটনাতো আপনারা জানেনই।

সকাল সাতটা বেজে গেছে।এখনও রিয়ার ঘুম ভাঙেনি।হঠাৎ কেউ সজোরে লাত্তি মারায় খাট থেকে পরে যায় রিয়া।ঘুমের ভিতর চিৎকার দিয়ে উঠেছে।রিয়াদের দিকে চোখ পড়তেই দেখে রাগী চোখে তার দিকে তাকিয়ে আছে সে।দেখে মনে হচ্ছে দুচোখ দিয়ে যেন অগ্নিবর্ষণ হচ্ছে।

রিয়া একটু মাথা উঠিয়ে কিছু বলতে যাবে তার আগেই রিয়াদ তার চুলের মুঠি ধরে হিচড়িয়ে খাটের ওপর তলে। ব্যাথায় কুকড়ে ঊঠে রিয়া।

রিয়ার মাথাটা বিছানার সাথে চেপে ধরে বলে..তুই নাকি কোনো ছেলের কাছেই যাসনি? আমিই নাকি তোর জীবনে প্রথম পুরুষ?আমি ছাড়া দ্বিতীয় কোনো পুরুষ নাকি আসেনি?তাহলে বিছানায় রক্তের দাগ কোথায়?

চলবে—-

আরও খবর

Sponsered content