সারাদেশ

লালমনিরহাটের সরকারি জমি থেকে এমপির পিএস’র রেস্তোরাঁ উচ্ছেদ

  প্রতিনিধি ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ , ৩:০০:২৫ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের দীর্ঘ নয় মাস পর সরকারি জমি থেকে উচ্ছেদ হয়েছে লালমনিরহাট-১ আসনের এমপির ব্যক্তিগত সহকারীর রেস্তোরাঁ।

বুধবার বেলা ১১টার পর হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের দোয়ানিতে পিআইভুক্ত (কি পয়েন্ট ইন্সটেলশনকে) তিস্তা ব্যারাজ সংলগ্ন পানি উন্নয়ন বোর্ড-পাউবোর জমির উপর স্থাপনা ভাঙা শুরু হয়।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কার্যালয় থেকে জানা যায়, ওই এলাকায় তাদের অধিগ্রহণ করা ২৫ শতাংশ জমি অবৈধভাবে দখল করে রেস্তোরাঁ নির্মাণ করেন লালমনিরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেনের ব্যক্তিগত সহকারী আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল।

তিনি উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকও।

২০২২ সালের ৭ জুলাই জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে সরকারি জমি দখল করে শ্যামলের বানানো রেস্তোরাঁটি উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের আপত্তিতে চলতি বছর ১২ মার্চ বৈরালীসহ বেশ কয়েকটি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ জারি করেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক।

ওই আদেশের দীর্ঘ নয় মাস পর অবশেষে বুধবার শ্যামলের রেস্তোরাঁটিসহ সেখানে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

লালমনিরহাটের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইসফাকুল কবির সাংবাদিকদের বলেন, “সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান অবশেষে আজ দখলমুক্ত করা হল।”

ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের ৯ মাস পর উচ্ছেদ অভিযান প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “নানা সমস্যার কারণে এতদিন উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়নি।”

নীলফামারী পাউবোর ডালিয়া জোনের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে জানা যায়, ২০২১ সালে সরকারের ২৫ শতাংশ জমিতে অবৈধভাবে বালু ভরাট করে একই বছরের নভেম্বরে স্থাপনার নির্মাণ কাজ শেষ করেন শ্যামল।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদদৌলা বলেন,২০২২ সালের ৬ জুন এবং ২০২১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক বরাবর তিস্তা ব্যারাজের অধিগ্রহণ করা জমিতে বৈরালী রেস্তোরাঁসহ তালিকাভুক্ত ৪৭টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়।

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করে ২০২৩ সালের ১২ মার্চ লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।

উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নেন লালমনিরহাটের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজিয়া নওরীন,লালমনিরহাটের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদ আল সোহান এবং লালমনিরহাটের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইসফাকুল কবির,হাতীবান্ধা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম।

এসময় আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর বিপুল সদস্য ছাড়াও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ছিলেন।

 

 

আরও খবর

Sponsered content