সারাদেশ

রাজধানীতে পরিবেশ অধিদপ্তরের এক পরিচালক ও তার স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু

  প্রতিনিধি ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ২:১২:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।ঢাকার মিরপুরের বাসায় ‘অসুস্থ’ হয়ে পড়ার পর এক দিনের ব্যবধানে মারা গেছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের এক পরিচালক ও তার স্ত্রী।

তবে কী কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে,সে বিষয়টি নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।পুলিশ বলছে,ময়নাতদন্তের পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা অঞ্চলের পরিচালক সৈয়দ নাজমুল আহসান (৫৫) এবং তার স্ত্রী নাহিদ বিনতে আলম (৪৫) মিরপুর -২ নম্বর সরকারি অফিসার্স কমপ্লেক্সের বাসায় থাকতেন।

বুধবার বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের দুজনকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ নেওয়া হয়।সেখানে চিকিৎসক নাজমুল আহসানকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান মিরপুর থানার পরিদর্শক এসএম কামরুজ্জামান।

সেদিন রাতে নাহিদ বিনতে আলমকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে তিনি মারা যান।

পরিদর্শক কামরুজ্জামান বলেন, “তাদের শরীরে বাহ্যিক কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই।ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।”

পুলিশ কীভাবে ওই দম্পতির মৃত্যুর খবর পেল,তা জানতে চাইলে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “হাসপাতালে নেওয়ার পরপরই মারা গেছেন।সে কারণে হয়ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে জানিয়েছে।”

তাদের ভর্তি টিকেটে ‘পুলিশ কেইস’ লেখা ছিল কেন,এই প্রশ্নের উত্তরে পরিদর্শক কামরুজ্জামান বলেন, “বিষক্রিয়ার কারণে পুলিশ কেইস লেখা থাকতে পারে,ময়নাতদন্তের পর সবকিছু জানা যাবে।এটা ফুড পয়জনিং থেকে না অন্য কোনো কারণে হতে পারে।”

তাদের মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক শফিউর রহমান বলেন, “সৈয়দ নাজমুল আহসানকে হাসপালাতে আনার পরপরই চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।তিনি আগেই মারা গিয়েছিলেন।এর চেয়ে বেশি কিছু জানি না।”

আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল হাসপাতালে পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজাউর রহমান বলেন, “আমি নাহিদ বিনতে আলমের মৃত্যুর খবর শুনেছি।তবে কী কারণে মারা গেছেন তা জানতে পারিনি।”

পরিবেশ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা বলেন,নাজমুল আহসানের ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ হয়েছে।তার স্ত্রীর কী হয়েছে জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা আর কোনো কথা বলেননি।

সৈয়দ নাজমুল আহসান ১৯৯৬ সালে গবেষণা কর্মকর্তা হিসেবে পরিবেশ অধিদপ্তরে যোগ দেন। ২০১৭ সালে তিনি পদোন্নতি পেয়ে পরিচালক হন। তার গ্রামের বাড়ি মাগুরা সদরে।

এই দম্পতি দুই কন্যা সন্তান রেখে গেছেন।তাদের মধ্যে একজন এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।

আরও খবর

Sponsered content