সারাদেশ

র‍্যাবের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীকে সাদাপোশাকে তুলে নিয়ে অস্ত্র ও গুলি দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ায় সংবাদ সম্মেলন

  প্রতিনিধি ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৫:৪৭:০৬ প্রিন্ট সংস্করণ

যশোর জেলা প্রতিনিধি।।যশোরের শার্শা উপজেলায় নাসির উদ্দীন (৪০) নামের এক ব্যবসায়ীকে সাদাপোশাকে তুলে নিয়ে অস্ত্র ও গুলি দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে র‍্যাবের বিরুদ্ধে।

আজ রোববার দুপুরে ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রী বিলকিস খাতুন যশোর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন।শার্শার বাগআঁচড়া সাতমাইল এলাকা থেকে ওই ব্যবসায়ীকে তুলে নেওয়া হয়।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে র‍্যাবের যশোরের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর সাকিব হোসেন বলেন,নাসির উদ্দীন অস্ত্র ব্যবসা ও সীমান্তে চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত।গত শনিবার দেশি-বিদেশি ৬টি অস্ত্র ও ১৯টি গুলি নিজের কাছে রেখে বাগআঁচড়া মার্কেটের সামনে অবস্থান করছিলেন তিনি।তখন অস্ত্র,গুলিসহ তাঁকে আটক করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র, অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন আইনে থানায় তিনটি মামলা আছে।

র‌্যাব সূত্র জানায়,বাগআঁচড়া হাইস্কুল মার্কেটের সামনে কতিপয় ব্যক্তি অবৈধ মাদকদ্রব্য কেনাবেচা ও চোরাচালানের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছেন,এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গতকাল শনিবার নাসির উদ্দীনকে আটক করে র‌্যাব। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ২টি বিদেশি পিস্তল,৪টি ম্যাগাজিন,১টি ওয়ান শুটারগান বন্দুক,৩টি রিভলবার ও ১৯টি গুলি জব্দ করা হয়।নাসির উদ্দীন যশোরের শার্শা উপজেলার পুটখালী গ্রামের বাসিন্দা।

সংবাদ সম্মেলনে নাসিরের স্ত্রী বিলকিস খাতুন দাবি করেন, নাসির উদ্দীন একজন গরুর খামারি।গরু কেনাবেচার ব্যবসা করেন।গরু কেনার উদ্দেশ্যে গতকাল সকালে তাঁর সহকারী আল আমিনকে সঙ্গে নিয়ে বাগআঁচড়া সাতমাইল গরুর হাটে যান।মোটরসাইকেলে বাজারের অদূরে পৌঁছালে সাদাপোশাকের কয়েকজন ব্যক্তি তাঁকে থামিয়ে একটি গাড়িতে তুলে নেন। স্থানীয় মুহিত পেট্রলপাম্পে নিয়ে অনেকক্ষণ আটকে রাখার পর যশোর থেকে আসা র‍্যাবের গাড়িতে তোলা হয়।এ সময় তাঁর কাছে অস্ত্রের একটি ব্যাগ দেওয়া হয়।

নাসিরের শ্যালক উজ্জ্বল হোসেন বলেন,নাসির উদ্দীনের কাছ থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার দেখিয়ে শার্শা থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।ষড়যন্ত্রমূলক একটি মামলাও দেওয়া হয়েছে।নাসির উদ্দীনের সঙ্গে থানায় গিয়ে দেখা করলে তিনি প্রকৃত ঘটনা খুলে বলেন।

র‍্যাবের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়,নাসির পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন।সাত থেকে আট বছর বয়স থেকে সীমান্তে মাদক ও সোনা চোরাচালানের কাজ শুরু করেন।পরবর্তী সময়ে নিজে চোরাকারবারি হয়ে ওঠেন।তাঁর নিয়ন্ত্রণে মাদক ও অস্ত্র ব্যবসার একটি সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন।চোরাকারবারি,মাদক ও অস্ত্র ব্যবসা থেকে অর্জিত অবৈধ টাকা আড়াল করার জন্য সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি বড় গরুর খামার করেছেন।তিনি স্বল্প দামে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে অস্ত্র কিনে অধিক দামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করেন।

আরও খবর

Sponsered content