সারাদেশ

বিএসএমএমইউ সাবেক উপাচার্য ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত এমপি নিজেই যখন খালে নেমে পরিষ্কার অভিযান শুরু করেন

  প্রতিনিধি ২৬ এপ্রিল ২০২৪ , ৫:৩৭:৫৩ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।চান্দিনায় কচুরিপানায় ভরা কার্জন খালের চেহারা পালটে দিতে পরিষ্কারে নামলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত এমপি। শুক্রবার সকাল ১০টায় চান্দিনা ও বরুড়া উপজেলার ওই সংযোগ খালটির চিলোড়া অংশ থেকে পরিষ্কার অভিযান শুরু করেন তিনি।এ সময় স্বেচ্ছাশ্রমের বিনিময়ে বহু নেতাকর্মী খালে নেমে কচুরিপানা পরিষ্কার কাজে অংশ নেন।প্রাথমিকভাবে খালটির সাড়ে ৩ কিলোমিটার এলাকা পরিষ্কার করা হবে বলে জানান এমপি।

 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত এমপি নিজেই যখন খালে নেমে পরিষ্কার অভিযান শুরু করেন তখন তার সঙ্গে একাত্মতা করে নোংরা পানির খালে নামেন এতবারপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারমান মো. ইউসুফ ও বাড়েরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আহসান হাবিব।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাবের মো. সোয়াইব,উপজেলা প্রকৌশলী মো. রাকিবুল ইসলাম প্রমুখ।

এমপির এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।এলাকার বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিরা বলেন, কার্জন খালটি একটি ঐতিহ্যবাহী খাল।এখনো এ খালটি অন্তত ৫০-৬০ ফুট প্রস্থ।বছরের শুকনো মৌসুম অতিক্রম করে গ্রীষ্মের খরতাপে যেখানে বেশির ভাগ জলাশয় শুকিয়ে গেছে কিন্তু কার্জন খালে এখনো ৫-৭ ফুট গভীরের পানি আছে।ওই খালে এক সময় বড় বড় নৌকা চলত। খালের পানিতে দুই উপজেলার কয়েক গ্রামের কৃষক সেচকাজ করে জমিতে ফসল ফলাতেন; কিন্তু খালটি সংস্কারে কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় কচুরিপানায় ভরপুর হয়ে আছে। ফ্যাক্টরির বর্জ্য ফেলে পানি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে আছে।

প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন,পরিবেশ রক্ষায় খালের বিকল্প নেই।এ খালের অনেক ঐতিহ্য রয়েছে।খালটি পরিষ্কার করে আমার উপজেলার সীমানা পর্যন্ত খনন করে দুইপাশে বৃক্ষরোপণ করার উদ্যোগ নিয়েছি।ফ্যাক্টরির বর্জ্য ফেলা বন্ধ করেছি।এ খালের বিশেষ একটি অংশে থাকবে নৌকা। এখানে এসে যাতে এলাকার মানুষ কিছুটা হলেও বিনোদন পায় সেই ব্যবস্থা করব।

 

facebook sharing button
messenger sharing button
whatsapp sharing button
twitter sharing button
linkedin sharing button

আরও খবর

Sponsered content