জাতীয়

মানবাধিকার লঙ্ঘন করেন সেসব ঘটনা ও দায়ীদের বিরুদ্ধে তদন্তের ক্ষমতা পেতে আইন সংশোধনের জোরালো চেষ্টা করা হচ্ছে

  প্রতিনিধি ২ এপ্রিল ২০২৪ , ৫:২৩:০২ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন,আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যেসব সদস্য মানবাধিকার লঙ্ঘন করেন সেসব ঘটনা ও দায়ীদের বিরুদ্ধে তদন্তের ক্ষমতা পেতে আইন সংশোধনের জোরালো চেষ্টা করা হচ্ছে।

তিনি দাবি করেন,বিদ্যমান আইনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে তদন্তের ক্ষমতা না থাকলেও কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর প্যান প্যসিফিক সোনারগাঁ হোটেলের পদ্মা হলে ‘মানবাধিকার সুরক্ষা গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময়সভায় এমন মন্তব্য করেনে তিনি।

অতিথি হিসেবে সভায় মতামত তুলে ধরেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এবং দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক শ্যামল দত্ত ইউএনডিপি বাংলাদেশের সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি আনোয়ারুল হক।এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ‘পরিপ্রেক্ষিত’র নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা,সদস্য ড. তানিয়া হক ও কংজরী চৌধুরী,কমিশনের সচিব সেবাস্টিন রেমা,পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) মো. আশরাফুল আলম।
সভার শুরুতে কমিশনের পরিচিতি তুলে ধরেন কমিশনের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) কাজী আরফান আশিক।

কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘অনেকে মনে করেন মানবাধিকার কমিশন সরকার যেহেতু প্রতিষ্ঠা করেছে,তাই এটা সরকারি প্রতিষ্ঠান।কিন্তু এই প্রতিষ্ঠান সরকারি প্রতিষ্ঠান নয়। কমিশন চলে তার নিজস্ব চিন্তা ভাবনায়।’

তিনি বলেন,আমাদের কার্যপরিধির সীমা নিয়ে অনেকের প্রশ্ন থাকতে পারে।মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হয়তো সেই শক্তিটা আমরা অর্জন করতে পারিনি।কিন্তু আমরা কিছুটা হতাশ হলেও লেগে থাকব।কেউ আমাদের কথা যদি নাও শুনে তারপরও আমরা লেগে থাকব।’

শ্যামল দত্ত তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘গণমাধ্যম ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কিভাবে এক হয়ে কাজ করলে গণমানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণে শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ।আমরা পারস্পরিক সম্পর্ক কিভাবে নির্মাণ করতে পারি সে বিষয়টি নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে।’

আরও খবর

Sponsered content