প্রতিনিধি ২০ আগস্ট ২০২৩ , ১:৪৪:৫২ প্রিন্ট সংস্করণ
সেনবাগ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি।নোয়াখালীর সেনবাগে বিয়ের ২৯ দিনের মাথায় ফুসলিয়ে এক নববধূকে (১৮) ভাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মো. রবিউল ওরফে শিহাব (২০) নামের এক তরুণের বিরুদ্ধে।
ঘটনার ২৯ দিন পার হলেও এখনো নিখোঁজ নববধূকে উদ্ধার করেতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
অভিযুক্ত তরুণ মো. রবিউল ওরফে শিহাব উপজেলার কাদরা ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের ছিদ্দিক মেম্বারের নতুন বাড়ির আলাউদ্দিন মাস্টারের ছেলে।
গত মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১, নোয়াখালী আদালতে তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
এর আগে, ২৪ জুলাই ভুক্তভোগীর মা সেনবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।ভুক্তভোগী গৃহবধূর মা অভিযোগ করে বলেন,গত মাসের ২৪ জুন প্রবাসী এক যুবকের সঙ্গে পারিবারিকভাবে আমার মেয়েকে বিয়ে দেওয়া হয়।বিয়ের ২৯ দিনের মাথায় গত ২২ জুলাই সন্ধ্যার দিকে তাকে ট্রিট দেওয়ার কথা বলে শিহাব নামে এক তরুণ আমার মেয়েকে ৮ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ১ লাখ টাকাসহ ভাগিয়ে নিয়ে যায়।এ ঘটনায় ২৪ জুলাই সেনবাগ থানায় আমার মেয়ে নিখোঁজ রয়েছে বলে আমি একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি।কিন্তু পুলিশ আমার মেয়ে উদ্ধারে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি।এরপর মামলা করতে গেলে পুলিশ তালবাহানা করে সময়ক্ষেপণ করে মামলা নেয়নি।একপর্যায়ে আমি বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করি।পরে স্থানীয়ভাবে আমরা জানতে পারি,ওই তরুণ আমার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মো. রবিউল ওরফে শিহাবের মোবাইল ফোনে কল করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে জানতে তার মায়ের মোবাইল ফোনে কল করা হলে ফোন রিসভি করেন শিহাবের নানী আনোয়ারা বেগম।তিনি অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন,তাদের মেয়ে আমাদের ছেলেকে নিয়ে গেছে।ছেলের চিন্তায় তার মা অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
সেনবাগ থানার ওসি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী বলেন, ভুক্তভোগী পরিবার এ ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।মামলাটি নোয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিবিআই নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সি বলেন,আদালতে মামলা হলে অনেক সময় আসতে বিলম্ব হয়।তবে খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।