অপরাধ-আইন-আদালত

জাবির অধ্যাপককে মারধর:-সেই ইউপির চেয়ারম্যান কারাগারে

  প্রতিনিধি ১ জুন ২০২৩ , ৫:১২:১১ প্রিন্ট সংস্করণ

জাবি প্রতিনিধি।।খুলনার কয়রা উপজেলার উত্তরচক কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে আরবি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রতিনিধি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নজরুল ইসলামকে বাড়িতে আটকে রেখে মারধর ও নিয়োগসংক্রান্ত কাগজে জোর করে সই নেওয়া সেই ইউপি চেয়ারম্যানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার কয়রা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ পূর্বক জামিনের আবেদন করেন ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ-আল মাহমুদ।শুনানি শেষে জামিন না মঞ্জুর পূর্বক এ আদেশ দেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আজহারুল ইসলাম।

গত ৫ মে কয়রা উত্তরচক আমিনিয়া বহুমুখী কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। নিয়োগবিধি অনুযায়ী ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের প্রতিনিধি হিসেবে সেখানে উপস্থিত ছিলেন নজরুল ইসলাম।লিখিত পরীক্ষায় কোনো প্রার্থী উত্তীর্ণ না হওয়ার পরও মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাসুদুর রহমানকে নিয়োগ দিতে চাপ সৃষ্টি করেন ইউপি চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল মাহমুদ।চাপ উপেক্ষা করে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে অনড় থাকেন অধ্যাপক।এতে ক্ষিপ্ত হন সভাপতি।

পরে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক জিয়াউল আহসানের গাড়িতে করে ফেরার পথে মাদ্রাসার সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাহমুদের বাড়ির সামনে পৌঁছালে ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজন তাঁদের গতিরোধ করেন।গাড়ি থামানোর সঙ্গে সঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান তাঁর মুঠোফোন,মানিব্যাগ,গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রসহ আনুমানিক ২০ হাজার টাকা ও তাঁর হাতে থাকা ঘড়ি ছিনিয়ে নেন।

এ সময় ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজন কিল ঘুষি মারতে মারতে তাঁকে গাড়ি থেকে নামিয়ে চেয়ারম্যানের বাড়িতে নিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিয়োগের কাগজে স্বাক্ষর করতে বলেন। রাজি না হলে একটি ঘরে চার ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতনের পর জোর করে স্বাক্ষর করিয়ে নেন। এ সময় তাঁদের মারধরে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি। জ্ঞান ফিরলে নিজেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখতে পান নজরুল ইসলাম।

এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন অধ্যাপক নজরুল ইসলাম।মামলার পর উচ্চ আদালত থেকে দুই সপ্তাহের আগাম জামিন নেন ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ।উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিনের প্রার্থনা করলে আদালতের বিচারক তা নামঞ্জুর করেন।

আরও খবর

Sponsered content