সারাদেশ

ময়মনসিংহে ডাবল মার্ডারের রহস্য উদঘাটন ও অপরাধীদের গ্রেফতারে কোতোয়ালী পুলিশ পুরস্কৃত

  প্রতিনিধি ১৫ মে ২০২৩ , ২:৩২:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ

ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি।।ঈদের দিনের ডাবল মার্ডারের আসামি দ্রুত সময়ে গ্রেফতার করায় এবং হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করায় পুরষ্কৃত হলেন ময়মনসিংহের কোতোয়ালী মডেল থানা।

আজ সোমবার (১৫ মে ২০২৩) তারিখ জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভায় পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঞা এই পুরস্কার প্রদান করেন।কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাহ্ কামাল আকন্দ সহ টিম সদস্যরা এ পুরস্কার গ্রহণ করেন।

এ ছাড়া মাদক উদ্ধার, মাদক ব্যবসায়ী,নিয়মিত মামলার আসামী,চোর,ছিনতাইকারী,ডাকাত এবং আদালতের পরোয়ানা ও সাজাপ্রাপ্ত পলাতক দেখে গ্রেফতারে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ ধারাবাহিক ভাবে শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হানুল ইসলাম,শামীম হোসেন,ফাল্গুনী নন্দীসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ জানায়,ঈদের দিন ভোরে ময়মনসিংহ নগরীর ডি এন চক্রবর্তী রোডে অটো চালক হাবিবুর রহমান এবং গোহাইলকান্দি পশ্চিম পাড়ায় রিক্সা চালক সাদেক মিয়াকে অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীরা ছুরিকাঘাতে হত্যা করে লাশ ফেলে পালিয়ে যায়।এই দুই খুনের ঘটনায় কোতোয়ালী মডেল থানায় পৃথক মামলা হয়েছে।

তাৎক্ষণিক কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাহ্ কামাল আকন্দের নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ ফারুক হোসেন,এসআই নিরুপম নাগ,এসআই শাহ্ মিনহাজ উদ্দিন, এএসআই সুজন চন্দ্র সাহার নেতৃত্বে পুলিশ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত তিনজনকে ঘটনার ৮ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃতরা হলো,অনন্ত কুমার দে,মামুন ও কাজী মোঃ মাহিন বাদশা।এদের মাঝে অনন্ত ময়মনসিংহের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজ ও মামুন কমার্স কলেজের ছাত্র। অনন্তের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী মডেল থানার মামলা নং- ২০ তাং- ০৯-১২-২০২০, ধারা- ১৯৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯ এ ধারার অস্ত্র মামলা চলমান রয়েছে।অন্য দুই আসামীর বিরুদ্ধেও স্থানীয়ভাবে বিরুপ তথ্য পায় এবং তারা নেশাগ্রস্ত। তারা উভয় হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

গ্রেফতারকৃতরা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে পূর্বপরিকল্পনা অনুসারে রিক্সা ভাড়া করে কৌশলে কাঙ্খিত স্থানে নিয়ে একই ছুরি দিয়ে অটোচালক ও রিক্সাচালক দুইজনকে হত্যা করে তাদের সাথে থাকা টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়।

এ দুটি হত্যা মামলার তদন্তকালে উপার্জনক্ষম এই দুই ব্যক্তির মৃত্যুতে পরিবার দুটির আর্থিক দুরাবস্থা ও মানবেতর অবস্থা পুলিশের চোখে পড়ে।এ প্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার এবং কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি ব্যক্তিগতভাবে মানবিক চিন্তা চেতনায় পরিবার দুটির অসহায়ত্বের বিবেচনায় তাদেরকে আর্থিক সহায়তার চিন্তা করেন।যৎসামান্য এই অর্থ পরিবার দুুটির নামে পৃথকভাবে এফডিআর করে দেওয়া হয়।

আরও খবর

Sponsered content