আন্তর্জাতিক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মধ্য এশিয়ার নেতাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত যোগাযোগ রক্ষা করছেন

  প্রতিনিধি ১ মার্চ ২০২৪ , ২:৪০:১০ প্রিন্ট সংস্করণ

অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট।।ইউক্রেনের আভদিভকা শহর নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রাশিয়ার অসাধারণ বিজয় হয়েছে।সেখানে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী পরাস্ত।এ ঘটনা মধ্য এশিয়া অঞ্চলে নিরাপত্তা প্রদানে রাশিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতা আরও বাড়িয়েছে।মধ্য এশিয়ার মানুষ নিশ্চয় এটা ভোলেনি– রাশিয়া একাই ন্যাটোকে বেকায়দায় ফেলেছে।এ ঘটনা গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার কারণ,আফগানিস্তানের সঙ্গে রাশিয়ার কার্যকর কূটনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরপর এটা ঘটেছে।এর মাধ্যমে পশ্চিমা আরেকটা প্রোপাগান্ডারও অসারতা প্রমাণ হলো– মধ্য এশিয়ায় রাশিয়ার প্রভাব ‘কমছে’।

মধ্য এশিয়ায় ২০২৩ সালে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ছিল ঈর্ষণীয়– ৪ দশমিক ৮ শতাংশ।এর পেছনে রাশিয়াও অবদান রেখেছে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পশ্চিমারা রাশিয়ার বাজারের বাইরে ছিল,যেটি আঞ্চলিক দেশগুলোর জন্য সুযোগ এনে দেয়। একই সঙ্গে নিষেধাজ্ঞার শর্তের কারণে রাশিয়ার নাগরিকরা তাদের ব্যবসা মধ্য এশিয়ায় সরিয়ে এনেছে।মস্কোর নীতি হলো,আঞ্চলিক দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কে এক ধরনের ‘রেনেসাঁ’ বা জাগরণ তৈরি।রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মধ্য এশিয়ার নেতাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত যোগাযোগ রক্ষা করছেন।

গত বছরের ৯ মে মস্কোর কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে রেড স্কয়ারে মধ্য এশিয়ার সব দেশের প্রেসিডেন্ট অংশ নেন।সেটি রাশিয়া এবং ব্যক্তিগতভাবে পুতিনের জন্য বড় ঘটনা।২০২৩ সালজুড়ে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে মধ্য এশিয়ার দেশগুলোকে লক্ষ্য করে কূটনৈতিক তৎপরতা চালায় পশ্চিমা বিশ্ব।যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ এ অঞ্চল সফর করেন।

ভ্লাদিমির পুতিনের নতুন চিন্তা হলো, এই খেলায় ব্যস্ত থাকার পরিবর্তে মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক উন্নত করা।বিশেষ করে অর্থনৈতিক ও মানবিক বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া।এটি স্পষ্টভাবে ‘বিগ ব্রাদার’ বা দাদাগিরি সিন্ড্রোমকে বাতিল করছে।

বুধবার পুতিনের সঙ্গে কাজানে তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান ও কাজাখস্তানের বৈঠক খুব সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে হয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content