অপরাধ-আইন-আদালত

বিএনপির সঙ্গে এক হয়ে জামায়াত হামলা-নাশকতার পরিকল্পনা করছে-এসি,বিপ্লব কুমার

  প্রতিনিধি ১০ ডিসেম্বর ২০২২ , ২:৪৩:৪৯ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।১০ ডিসেম্বর গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির সঙ্গে এক হয়ে জামায়াত হামলা-নাশকতার পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার। গতকাল শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে জুমার নামাজের পর নয়াপল্টনে সমাজকল্যাণ মসজিদের গলিতে নিরাপত্তা তদারকি করতে এসে বিপ্লব কুমার সরকার এ কথা বলেন। এ সময় কিছু মুসল্লি স্লোগান দিতে থাকলে পুলিশ ধাওয়া করে তাদের সরিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, জুমার নামাজের পর পল্টন সমবায় মসজিদের গলিতে বেশ কিছু মুসল্লি এক হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। এ সময় তারা জামায়াতের ব্যবহার করা স্লোগান দিয়ে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা চালায়।

ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বলেন, “এখানে ৪০-৫০ জন ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার’ বলে স্লোগান দিয়েছে। তারা আসলে মুসল্লিবেশে জামায়াত-বিএনপির লোক। কারণ আমরা জানি এই স্লোগান নিষিদ্ধ একটি দল দেয়। তার মানে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের ঐক্য আছে। এখন যে-ই নাশকতার পরিকল্পনা করুক, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।”

১০ ডিসেম্বর যে দলটি সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে, তাদের সঙ্গে মিলে এই লোকজন এখানে প্রবেশের চেষ্টা করছিল জানিয়ে বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ‘এই যে জামায়াতে ইসলামী এখানে ছিল… ছদ্মবেশে জামায়াত বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সঙ্গে ঝগড়া করার চেষ্টা করছে। পুলিশের পক্ষ থেকে যথাযথ নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কোনো অপরাধী, দুষ্কৃতকারী, নাশকতাকারী বা জামায়াত-শিবিরকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।’

এর আগে জুমার নামাজ আদায়ে যাওয়া লোকজনকে পুলিশ বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে অনেকে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, জুমার নামাজ আদায়ে যেতে কাউকেই বাধা দেওয়া হচ্ছে না। বরং পুলিশ তাদের সহায়তা করছে।

গত বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ বলেছিল, নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় খুলে দেওয়া হবে। তাহলে গতকাল সকাল থেকেই আবার এত কড়াকড়ি কেন?

এ ব্যাপারে বিপ্লব সরকার বলেন, ‘সময়ের ওপর নির্ভর করে নিরাপত্তা বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই এলাকায় বসবাসরত নাগরিক ও কর্মরত সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়।যখন নিরাপদ মনে করা হয়, তখন খুলে দিই। আবার কোনো ধরনের ঝুঁকি দেখলে বন্ধ করা হয়। বিশেষ করে জনগণের জানমালের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকমের নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়।’

আরও খবর

Sponsered content