জাতীয়

শেখ মুজিবের নাম মুছে ফেলা হয়েছিল-প্রধানমন্ত্রী, শেখ হাসিনা

  প্রতিনিধি ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ১২:৪১:২৮ প্রিন্ট সংস্করণ

মাজহারুল ইসলাম।।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,একটা সময় আমাদের দেশে জয় বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।এমনকি শেখ মুজিবের নাম মুছে ফেলা হয়েছিল।সেসময় অনেকে বলেছেন,শেখ মুজিব তো আন্দোলন করেননি,জেলে ছিলেন।কিন্তু তিনি তো ভাষা আন্দোলনের জন্যই কারাবরণ করেছেন।পাকিস্তানিরা বারবার বাংলার ওপর আঘাত হেনেছে।পৃথিবীর কোনো দেশে এতবার সংস্কৃতির ওপর আঘাত আসেনি।

আজ (সোমবার) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত একুশে পদক ২০২৩ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন,১৯৪৭ সালে পাকিস্তান নামে একটি দেশের সৃষ্টি হয়।যেটি পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশ থেকে সম্পূর্ণ পৃথক ছিল।একসময় তারা আমাদের সংস্কৃতিতে আঘাত হানে।আমাদের ওপর উর্দু ভাষা চাপিয়ে দেয়।করাচিতে এক আলোচনায় তারা এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়।তাদের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমাদের দেশে প্রবল আন্দোলন শুরু হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন,১৯৫২’র ভাষা আন্দোলনের পর ১৯৫৩ সালে প্রথম ভাষা শহীদ দিবস পালন করা হয়। আরমানিটোলায় এক সভায় এ দিবস পালনের দাবি তোলা হয়।এরপর ১৯৫৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা করে। এরপরও পাকিস্তানিরা থেমে থাকেনি।তারা তখন উর্দু হরফে বাংলা লেখার নিয়ম করে,আরবি হরফে বাংলা লেখার নিয়ম করে। রবীন্দ্রনাথের গান নিষিদ্ধ করে।যার প্রতিবাদে ছাত্রসহ সবাই রাজপথে নেমে আসে।

তিনি বলেন,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বে আমরা ভাষা আন্দোলনে,মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভ করেছি।ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন,আমাদের এ আন্দোলন ছিল সামাজিক,অর্থনৈতিক,রাজনৈতিক অধিকার আদায়ের আন্দোলন।

সরকারপ্রধান বলেন,মুক্তিযুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধু সাড়ে তিন বছর ক্ষমতায় ছিলেন।এই সাড়ে তিন বছরের মধ্যেই তিনি সবার স্বীকৃতি পেয়েছিলেন। ৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার ২১ বছর পর আমরা ক্ষমতায় আসি।পরবর্তীতে আরও তিন দফায় ক্ষমতায় থাকায় বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশ।আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ গড়ে তোলা। আমরা বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে বাঁচতে চাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন,আজ যারা একুশে পদক পেয়েছেন সবাইকে আমার অভিনন্দন।এমন আরও অনেকেই আছেন,যাদের নাম আমরা জানি না।তাদের অবদানকে আমরা গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করি।আমাদের নতুন প্রজন্ম যেন তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে এগিয়ে যায়।

এর আগে নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য আগেই ঘোষিত ১৯ জন বিশিষ্ট নাগরিক ও দুটি প্রতিষ্ঠানকে ‘একুশে পদক-২০২৩’ প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আরও খবর

Sponsered content