অপরাধ-আইন-আদালত

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার ওসি এবিএম ফরমান আলীসহ ১২ ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা!

  প্রতিনিধি ৮ মে ২০২৪ , ৪:৩৩:২৭ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার ওসি এবিএম ফরমান আলীসহ ১২ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মামলা হয়েছে।আজ বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে নিহত রানার স্ত্রী সোনিয়া বেগম এ মামলা করেন।

ওসি ফরমান আলী ছাড়া মামলার বাকি আসামিরা হলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ফারহানা ইয়াসমিন,ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ,ডেপুটি জেলার মো. মাহবুব,পুলিশের উপ-পরিদর্শক চঞ্চল কুমার বিশ্বাস,উপ-পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান,সহকারী উপ-পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন, কনস্টেবল হাবিবুর,কনস্টেবল জোনাব আলী,কনস্টেবল মোবারক,পুলিশের সোর্স সবুজ ও শাহ আলম।

অভিযোগে বলা হয়েছে,গত ১৭ মার্চ ভিকটিম রানাকে আসামি শাহ আলম ও সবুজ ডিবি পরিচয়ে বাসা থেকে তুলে যাত্রাবাড়ী থানায় নিয়ে যান।সেখানে তারা রানাকে ব্যাপক শারীরিক নির্যাতন চালান।এমনকি পিটিয়ে তার দুই পা ভেঙে দেন এবং বুকের মাঝে ও মাথার বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করেন।ভিকটিমকে নির্যাতন করার সময় আসামি সবুজ বাদীকে ফোন দিয়ে ভিকটিমকে মারধর ও কান্নার আওয়াজ শোনান এবং বলেন ৫০ হাজার টাকা দিতে পারলে মারধর বন্ধ হবে।

তখন বাদী বলেন,আমি গরিব মানুষ,যা পারি জোগাড় করে নিয়ে আসছি।আপনারা আমার স্বামীকে বাঁচান।এরপর বাদী ২০ হাজার টাকা এনে সবুজের হাতে দেন।তখন বাদীকে এসআই মিজানুর রহমানের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।তিনি বাদীকে গালিগালাজ করেন।এসময় বাদী কান্নাকাটি করলে তাকে লাথি মেরে ফেলে দেওয়া হয়।বাদীকে পুলিশ পেটাতে থাকে।এই দৃশ্য দেখে তার ছোট ছেলে রাতুল অজ্ঞান হয়ে যায়।তখন ছেলেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে জ্ঞান ফেরানো হয়।পরে পুলিশ বাদীকে কোর্টে যেতে বলে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়,গত ১৮ মার্চ কোর্টে যান বাদী। ভিকটিম রানার সঙ্গে দেখা করার জন্য সেখানকার গারদে যান তিনি।তবে সেখানে তাকে পাওয়া যায়নি।খোঁজ না পেয়ে বাসায় চলে আসেন বাদী।এরপর ১৯ মার্চ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জে গিয়ে ভিকটিমকে দেখার জন্য টিকিট কাটেন।জেল কর্তৃপক্ষ বাদীকে জানায়,ভিকটিম রানা জেলে নেই।তখন বাদী চিন্তায় পড়ে যান।সেখান থেকে আবার যাত্রাবাড়ী থানায় আসেন।থানা থেকে কোনো তথ্য না দেওয়ায় আত্মীয় স্বজনদের বিষয়টি জানান।পরদিন ২০ মার্চ সকাল সাড়ে ৮টায় একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন দিয়ে বলা হয় ঢাকা মেডিকেলের মর্গে আসতে।সেখানে গিয়ে বাদী ভিকটিম রানাকে মৃত অবস্থায় শনাক্ত করেন।

আরও খবর

Sponsered content