সম্পাদকীয়

দেশের প্রায় সকল সরকারি হাসপাতালে একই চিত্র-সঙ্গবদ্ধ সিন্ডিকেট টেষ্ট বানিজ্যের খেলা!

  প্রতিনিধি ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ , ১১:৫১:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ

মাজহারুল ইসলাম।।দেশের প্রায় সকল সরকারি হাসপাতালের একই চিত্র,সঙ্ঘবদ্ধ সিন্ডিকেটের টেস্ট বাণিজ্যের খেলা!ডায়াগনস্টিকসের যন্ত্রপাতি-মেশিনপত্র অল্প কিছু আছে, বেশিরভাগই নাই নাই।যা আছে অধিকাংশ জায়গায় প্রশিক্ষিত মেডিকেল টেকনোলজিস্ট,রক্ষণাবেক্ষণ ও মেইন্টেনেন্স নাই বলে শত শত কোটি টাকায় কেনা মূল্যবান রোগনির্ণয় যন্ত্রগুলো অযত্নে অবহেলায় পড়ে থাকছে-বিকল,অচল, তালাবদ্ধ।আর কিছুক্ষেত্রে উপরি ইনকামের নেশায় ইচ্ছে করেই নষ্ট করে রাখা হয়,বা সময়মত ঠিক করা হয় না।

ঘুষ,কমিশন মিলবে বিধায় উচ্চমূল্যে মেশিন কেনায় যতটা আগ্রহ,সেগুলো সুন্দরভাবে পরিচালনা করে জনগণের সেবায় ঠিক ততটাই অনীহা!

প্রত্যাশিত সরকারি সেবা না পেয়ে বাধ্য হয়ে অসহায় জনগণ বাইরের মানহীন বেসরকারি মেডিকেলের ডাকাত ডায়াগনস্টিক সেন্টার (যেগুলোর হয় বৈধ লাইসেন্স নাই নয়তো প্রশিক্ষিত টেকনোলজিস্ট নাই বা মেশিনের মান ঠিক নাই!) থেকে চড়ামূল্যে টেস্ট করাচ্ছে।টেস্ট সাজেস্ট করা সরকারি হাসপাতালে থাকা বাইরের দালাল,আনসার,নার্স,ওয়ার্ড থেকে ডাক্তার সবার কমিশন এড করলে মূল্য তো চড়া হবেই!

উদ্ভুত পরিস্থিতিতে,একটা ইতিবাচক সরকারি সিদ্ধান্ত অসহায় মানুষের জন্য আশীর্বাদ হতে পারে।সরকারি মেডিকেলে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট OTM, DPM, LTM, RFQM যে প্রক্রিয়াতেই হোক, শর্ত থাকবে যে প্রতিষ্ঠান থেকে মেডিকেল ইকুইপমেন্ট ও যন্ত্রপাতি কেনা হবে,তারাই চুক্তিভিত্তিক মেশিন পরিচালনা,দেখভাল,রক্ষণাবেক্ষণ করবে।তাদের নিয়োগকৃত নিজস্ব অভিজ্ঞ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট দ্বারা সকল প্রকার টেস্ট সম্পন্ন করবে,এজন্য জনসাধারণ সরকারিভাবে নির্ধারিত গ্রহণযোগ্য ও নূন্যতম ফি দেবে,যা দিয়ে মেডিকেল টেকনোলজিস্টের বেতন ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচের বাইরেও ভালো লাভ থাকবে যন্ত্র সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের।

সরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান যেভাবে আউটসোর্সিং সেবা নেয়, এটা ঠিক তেমনই।এই শর্তে একদিকে যেমন সত্যিকারের বিশেষায়িত মেডিকেল ইকুইপমেন্ট ব্যবসায়ীরা খুশীমনে রাজি হবে,তেমনি জনসাধারণের হয়রানি,ভোগান্তিও অনেকটা কমে আসবে।

এই একটা সিদ্ধান্ত,সদিচ্ছা থাকলে কালকেই প্রজ্ঞাপন করে এক সপ্তাহের মধ্যে বাস্তবায়ন সম্ভব।স্বাস্থ্যখাতের চরম অনিয়ম, অরাজকতা,অব্যবস্থাপনায় সাধারণ মানুষ হতাশ,অসহায়, বিক্ষুব্ধ; তাদের একটু শান্তি দিন,কিছুটা স্বস্তি দিন।

আরও খবর

Sponsered content