সম্পাদকীয়

সৎ-যোগ্য নেতার যে সকল গুণাবলী থাকা দরকার:-

  প্রতিনিধি ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৭:৪৩:১০ প্রিন্ট সংস্করণ

মাজহারুল ইসলাম।। সৎ-যোগ্য নেতার পাওয়া দুষ্কর। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে সমাজের সৎ-যোগ্য নেতৃত্ব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।একারণেই সমাজের প্রতিটি স্তরে সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।সৎ-যোগ্য
নেতৃত্ব দেওয়ার মতো গুণ সবার থাকে না।তবে অনেকেই কঠোর পরিশ্রম ও সতর্কতার সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা করে ভালো নেতা বনে যান।

০১. কেউ এমনিতেই নেতা হতে পারে না।এটা অর্জন করতে হয়। সহকর্মীদের নিয়ে যে কোনো উদ্যোগের জন্য প্রথমেই যে কাজটি করতে হয় তা হলো, সহকর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ ও সংযোগ স্থাপন করা। এটা অনেকটা গণসংযোগের মতো। নেতা-বস হতে গেলে মানবিক হতে হবে।

২. সহকর্মীদের সম্পর্কে জানতে হবে। কোনো একটি অফিসে-দলনেতা হিসেবে নির্দিষ্ট স্থানে কাজ করতে হলে সবার আগে সেই দল-অফিস সদস্যদের-অফিসার সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। অধস্তনদের সঙ্গে বোঝাপড়া সৃষ্টি করতে হবে।

৩. সবার মেধার মূল্যায়নের জন্য তাদের সৃজনশীলতাকে উৎসাহ দিতে হবে। তাদের চিন্তা ও নতুন ধারণা সৃষ্টির স্বাধীনতা দিতে হবে। একজন আদর্শ নেতা নিজের চিন্তাধারা সবার মাঝে ছড়িয়ে দেন এবং অন্যদেরটাও গ্রহণ করেন।

৪. একজন আদর্শ দলনেতা-অফিসের বস তার সহকর্মীদের যাবতীয় সমস্যা দিনের পর দিন সামলে চলতে পারবেন তখন – যখন যেকোনো বিষয়ের ইতিবাচক বিষয়গুলো তুলে আনতে সক্ষম হবেন । তখন নিয়মিত বাধাগুলোকে টপকে যেতে পারবেন এবং তাদের নেতিবাচক বিষয়গুলো অবিশ্বাস্য দক্ষতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে সক্ষম হবেন।

৫. সত্যিকার নেতা-বসেরা জানেন, মুখে নয় ভালো ব্যবহার ও ভালো কাজ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সহকর্মীদের মনে স্থান করে নিতে হয়। কর্মীদের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থেকে নেতাদের কাজের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হয়। নির্দিষ্ট উপায় এবং কৌশলে কর্মীদের সঙ্গে কাজ করলে কর্মযজ্ঞ নির্দিষ্ট গণ্ডিতে আবদ্ধ হয়ে পরবে।

৬.স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে। সহকর্মীদের অন্ধকারে রেখে কাজে সফলতা অর্জন সম্ভব নয়। নেতা-বস যা বলবেন এবং করবেন তা যেন সবার কাছে প্রত্যক্ষ হয়। একই পথে সবাইকে পরিচালিত করতে হবে। নেতা-বসের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এবং কর্মপন্থা সহকর্মীদের কাছে স্পষ্ট রাখাটা নেতা-বসদের অন্যতম আদর্শ হওয়া উচিত।

৭. প্রয়োজনে সহকর্মীদের সহায়তা চাইতে হবে। ওরা শুধু দলের সদস্যরাই নেতাকে সহায়তা করতে পারেন না। নেতার শুভাকাঙ্ক্ষী, পরামর্শদাতা এবং পেশাদার ফেলো থাকবে। তারা নেতাকে বিভিন্ন জটিল পরিস্থিতিতে সুপরামর্শ দিয়ে পরিচালিত করবেন। একজন নেতার অন্যতম উৎস হবে এসব ক্ষেত্র।

৮. বাস্তব উদ্দীপনা উপলব্ধি করতে হবে।নেতৃত্ব প্রদান কোনো গতানুগতিক চাকরি নয়। যদি নেতা সব বিষয় গতানুগতিকভাবে নেন তবে বেশি দূর এগোনো সম্ভব নয়। নেতাকে তার আত্মোপলব্ধি অনুভব করতে হবে। আদর্শ নেতা নিজের ভেতরটা বুঝতে নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে। তাদের নেতৃত্ব প্রদানের কারণ বুঝতে হবে। প্রত্যেক কাজেরই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অনুভব করে সে অনুযায়ী উদ্দীপনার সঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে। এ সকল গুণাবলী বিদ্যমান থাকলেই ভালো নেতা-ভালো বস হওয়া সম্ভব।।

আরও খবর

Sponsered content