প্রতিনিধি ৩০ আগস্ট ২০২২ , ৮:৪৮:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ
মাজহারুল ইসলাম।।একজন স্ত্রী ২০ বছর ঘর-সংসার করার পর স্বামীর সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বলছেন, “পুরুষগণ আল্লাহর প্রদত্ত এক অশেষ নেয়ামত ।
কেননা,তারা স্বীয় যৌবনকে নিজ স্ত্রী-সন্তানদের জন্য উৎসর্গ করে দেয়।তাদের উপর ভর করেই পরিবারের জীবনের সুখ-শান্তি ও অপার সৌন্দর্য উপভোগ করে থাকি।
পুরুষ জাতিতো এমন এক স্বত্বা,যারা স্বীয় সন্তানদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎের জন্য সর্বাত্মক পরিশ্রম করে থাকেন।
কিন্তু এমন কঠোর পরিশ্রম আর জীবন উৎসর্গ সত্ত্বেও আমরা তাদের জীবনকে বিপন্ন করে তুলি!একরাশ হতাশা আর দুঃখ-কষ্ট,যান্তনার আগুনে পুড়িয়ে।
যদি পুরুষের একটু ফ্রেশ ও স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য বাহিরে যায় তাহলে বলি,বে-পরওয়াহ’ যদি ঘরে বসে থাকে, তাহলে বলি,অলস ও অকর্মণ্য প্রভৃতি অপবাদ আরোপ করি!
যদি সন্তানদের ভুলের জন্য শাসন করে তাহলে বলি, নির্দয় ও হিংস্রতর নিষ্ঠুর প্রাণীদের মতো আচরণ করে!
যদি স্ত্রীকে চাকরী করা থেকে বারণ করে তাহলে বলি, সেকেলে বা অনাধুনিক!মায়ের সাথে সুসম্পর্ক রাখে তাহলে বলি,’মা পাগল’যদিও স্ত্রীর সাথে প্রেমময় আচরণ করে তাহলে বলি,বৌ পাগল!
এতদসত্ত্বেও একজন পুরুষ পৃথিবীর এমন বীর, যে তার সন্তানদেরকে সর্বক্ষেত্রে নিজের চেয়েও সুখি বানাতে চান।
একজন পিতা যেন এমন এক রোবট,যিনি তার সন্তানদের কাছে আশারুপ সফলতা কামনা করে সর্বাধিক নৈরাশ হওয়ার পরেও মনপ্রাণ উজাড় করে ভালোবাসে এবং সর্বদাই সন্তানের মঙ্গলের জন্য আর্শীবাদ করে।
একজন বাবার মতো এমন এক মহাপুরুষ ,যিনি স্বীয় সন্তানদের দেয়া সকল কষ্ট সহ্য করে নেন।তখনও,যখন সন্তান বাবার পায়ের উপর পা রেখে চলতে শিখে এবং তখনও,যখন বড় হয়ে বাবার বুকের উপর পা রেখে চলে যায়।
যিনি সারাজীবনের কষ্টার্জিত মহামূল্যবান সম্পদগুলো অকাতরে সন্তানদেরকে দিয়ে দেন।
যদি মা সন্তানদেরকে ৯ মাস পেটে ধারণ করে থাকেন।তবে বাবা সারাজীবন স্বীয় ব্রেইনের মধ্যে ধারণ করে চলতে থাকেন।
পৃথিবীটা ততক্ষণই সু্ন্দর ও উপভোগ্য মনে হয় যতক্ষণ ‘বাবা’ নামক সত্বার ছায়া মাথার উপর বিরাজমান থাকে।
তাই বেঁচে থাকলে বাবাদের কদর করুন। চলে গেলে তাঁদের জন্য দু’হাত তুলে প্রার্থনা করুন। আল্লাহ আমাদের সকলের মা-বাবাকে সুখে-শান্তিতে রাখুন। আমীন।।