সম্পাদকীয়

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কুঃপরামর্শে নারকীয় হত্যাকাণ্ড-বাঙালী জাতিকে অভিভাবক শূন্যতা সৃষ্টি করেছে

  প্রতিনিধি ১৭ আগস্ট ২০২৩ , ৮:২২:০৩ প্রিন্ট সংস্করণ

মাজহারুল ইসলাম।।বাংলাদেশের স্হপতি-হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী,বিশ্বের শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রনায়ক ও জনপ্রিয় নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পরিবারের ১৬ জনকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট খুনি মোস্তাক আহমেদ ও মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের প্রকাশ্য মদদে পাকিস্তানের পরাশক্তির বিপথগামী কতিপয় দালাল চক্ররা যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কুঃপরামর্শে নারকীয় হত্যাকাণ্ডের চালিয়েছে বাঙালী জাতিকে অভিভাবক শূন্যতা সৃষ্টি করেছে।

আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিচার বন্ধের করে খুনীদের বাঁচানোর অপ-কৌশলে বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি দেয়া হয়েছে।

খুনিরা প্রকাশ্য দিবালোকে ঘোষণা করেন বাংলার মাটিতে কোনোদিন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিচার হবেনা।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বরণের পরে ৬বছর নির্বাসিত ছিলেন তার সুযোগ্য দুইকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে বাংলাদেশে আসতে দেয়নি।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন।তার চেতনা বাস্তবায়ন করতে দীর্ঘদিন সংগ্রামের মাধ্যমে বিশ্বের শান্তির অগ্রদূত,বাংলাদেশের উন্নয়নের নক্ষত্র,ডিজিটাল বাংলাদেশের রুপকার,বাঙালির স্বপ্নের বাস্তবায়ন করতে ১৭ মে ১৯৮১সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করার পরে ২৩ জুুন ১৯৯৬ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনতে জাতীয় সংসদে আইন পাশ করেছে।জাতির জনকের বাসার কেয়ারটেকার গুলশান থানায় মামলা দায়ের করার পর বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে জোট সরকার গঠনের পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী পালিত করতে দেয়া হয়নি।বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত সারাদেশে বিএনপির জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীরা আওয়ামী লীগ নির্মূলে মহাপরিকল্পনা নিয়েছে।

আওয়ামীলীগের ২৭ হাজার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে।বিনাকারনে খুন-গুম,হামলা-মামলা,নির্যাতন,জেল-জুলুম চালিয়ে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক নেতৃত্ব শূন্যতা সৃষ্টির চেষ্টা করেছিলেন।

সাবেক অর্থমন্ত্রী এএমএস কিবরিয়া,আহসান উল্লাহ মাস্টার,মঞ্জুর ইমাম সহ শতাধিক সংসদ সদস্যদের হত্যা করেছে।বাংলাদেশের ৬৩ জেলায় সিরিজ বোমা হামলা চালিয়ে বাংলা ভাই নামক জঙ্গি-সন্ত্রাসী,রাজাকারদের রাষ্ট্রীয়ভাবে পৃষ্ঠপোষকতায় বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সমর্থন দিয়েছে।

আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে আয়োজিত জনসভা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২২জনকে হত্যা ৫ শতাধিক নেতাকর্মীদের আহত করেছে।

মহাজোট সরকার ২৯ ডিসেম্বর ২০০৮ জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার ও ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।রাজাকারদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।

বাংলাদেশ জঙ্গি-সন্ত্রাস,মাদকমুক্ত,দূর্নীতি-অনিয়মমুক্ত,ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content