প্রতিনিধি ২৩ মার্চ ২০২৩ , ৪:৩৭:২০ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক।।টানা দুই ম্যাচে ওয়ানডেতে নিজেদের সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ডটা নতুন করে লিখেছিল বাংলাদেশ। আজ তৃতীয় দিনে বাংলাদেশকে ‘হ্যাটট্রিকে’র সুযোগটা দেয়নি আয়ারল্যান্ড।আয়ারল্যান্ড প্রথমে ব্যাটিং করাতেই সে সম্ভাবনা প্রায় শেষ।মাত্র ১০১ রানে অলআউট হয়ে যাওয়ায় ‘প্রায়’ শব্দটাও উধাও।তবে টানা তৃতীয় ম্যাচে দলীয় একটা রেকর্ড বাংলাদেশ করেই ছেড়েছে।৪০৯তম ওয়ানডেতে এসে প্রথমবার জিতেছে ১০ উইকেটে।অল্পের জন্যই হাতছাড়া হয়েছে আরেকটি রেকর্ড। ২২১ বল হাতে রেখে জিতেছে বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে অব্যবহৃত বলের হিসাবে, যা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বড় জয়।
বলের হিসাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়টা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।২০০৯ সালে চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়েকে ২২৯ বল হাতে রেখে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।সেই ম্যাচে অবশ্য জয়ের লক্ষ্য ছিল মাত্র ৪৫ রান।সেদিন লক্ষ্যটা ১১.৫ ওভারে ছুঁয়ে ফেলা বাংলাদেশ আজ জিতল ১৩.১ ওভারে।
বাংলাদেশের আজকের জয়টি অব্যবহৃত বলের হিসাবে ওয়ানডের ২৯তম বড় জয়।জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেই জয় আছে ১৯ নম্বরে।ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি বল হাতে রেখে জয়ের বিশ্ব রেকর্ডটা ইংল্যান্ডের।১৯৭৯ বিশ্বকাপে ২৭৭ বল হাতে রেখে কানাডার দেওয়া ৪৬ রানের লক্ষ্য পেরিয়েছিল ইংলিশরা।ম্যাচটি অবশ্য ছিল ৬০ ওভারের, ইংল্যান্ডকে খেলতে হয়েছিল ১৩.৫ ওভার।
৫০ ওভারের ম্যাচে রেকর্ডটা শ্রীলঙ্কার।২০০১ সালে কলম্বোর এসএসসি গ্রাউন্ডে জিম্বাবুয়েকে ৩৮ রানে অলআউট করে সেটি ৪.২ ওভারেই পেরিয়ে গিয়েছিল লঙ্কানরা।তখনো বাকি ছিল ইনিংসের ২৭৪ বল।এই তালিকার পাঁচে আছে বাংলাদেশের নাম,সেটি নিয়ে অবশ্য গর্ব করার কিছু নেই। কারণ,বাংলাদেশই এখানে পরাজিত দলে।কুইন্সটাউনে ৯৩ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ।ব্রেন্ডন ম্যাককালামের তাণ্ডবে মাত্র ৬ ওভারেই যা পেরিয়ে যায় কিউইরা।২০০৭ সালের শেষ দিনে সেই ম্যাচে ২৮ বলে ৮০ রান করেছিলেন ম্যাককালাম।
অব্যবহৃত বলের হিসাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়
বল বিপক্ষ ভেন্যু সাল
২২৯ জিম্বাবুয়ে চট্টগ্রাম ২০০৯
২২১ আয়ারল্যান্ড সিলেট ২০২৩
১৮০ ওয়েস্ট ইন্ডিজ চট্টগ্রাম ২০১১
১৭৬ ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রভিডেন্স ২০২২
১৫৭ কেনিয়া খুলনা ২০০৬