সারাদেশের খবর

স্বামীকে নিশিদ্ধ দ্রব্য সেবনে বাধা দেওয়ায় গৃহবধূকে নির্যাতন

  প্রতিনিধি ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ২:১৭:১৭ প্রিন্ট সংস্করণ

নড়াইল প্রতিনিধি।।স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক অনেক মধুর হয়ে থাকে।তবে অর্থলোভে অনেকেই নিজের স্ত্রীর সাথে অমানবিক আচরণ করে।এমন ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে বহুবার প্রকাশিত হয়েছে।সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে নড়াইলে। যে ঘটনার পর আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েছে ভুক্তভোগী ওই নববধূর পরিবার।

এ ঘটনা সম্পর্কে এক সংবাদ মাধ্যম দ্বারা জানা যায়, স্বামীকে নিশিদ্ধ দ্রব্য সেবনে বাধা দেওয়া ও বাবার বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল না আনায় অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে গৃহবধূ কাজী সুমাইয়া ইসলামের বিরুদ্ধে।

মাথায় ও শরীরে ক্ষত নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। ঘটনার পর থেকে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।

মাত্র ১১ মাস আগে নড়াইল সদরের পাইলডাঙ্গা গ্রামের আশিক খানের সঙ্গে বিয়ে হয় লোহাগড়ের শামুকখোলা গ্রামের সুমাইয়ার। কনের সাজে মেয়েটি এখন শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত নিয়ে হাসপাতালের বিছানায় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে।

স্বজনরা বলেন, তারা তার মাথায় রড দিয়ে আঘাত করলে তা ঠোঁটে গিয়ে লাগে। তার ঠোঁটে ১০টি সেলাই লাগে এবং একটি দাঁত ভেঙ্গে মাড়িতে ঢুকে যায়।

নড়াইল সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. পার্থসারথি রায় বলেন, “কোন অভ্যন্তরীণ ক্ষতি হয়েছে কিনা তা দেখার জন্য পরীক্ষা দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত রিপোর্ট আসেনি

স্বজনরা জানান, স্বামীকে নিশিদ্ধ দ্রব্য সেবন থেকে দূরে থাকেতে বলায় সুমাইয়াকে প্রায়ই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হতো। বাবার বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল আনতেও চাপ ছিল তার।

বৃহস্পতিবার আশিক সুমাইয়াকে নির্মম নির্যাতন করে পালিয়ে যায়। ভুক্তভোগির পরিবার এর সুষ্ঠু বিচার চায়।

সুমাইয়ার বাবা কাজী নজরুল ইসলাম বাদশা বলেন, গালিগালাজ করার পর তার মাথা ফাটিয়ে দেয় যায়, স্বামীকে নিয়ে বিয়ের আগে থেকেই অনেক স্বপ্ন ছিল আমার মেয়ের, এখন তার এমন পরিনতি আমার সহ্য হচ্ছেনা। আমরা এর বিচার চাই। জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।

নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। বর্তমানে মামলাটি তদন্তাধীন, তদন্ত শেষ হলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সুমাইয়া নড়াইলের লোহাগড় সরকারি আদর্শ কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। অভিযুক্ত স্বামী আশিক নড়াইল নির্মাণাধীন রেল প্রকল্পে চীনা দোভাষীর কাজ করছেন।

উল্লেখ্য, যৌতুকের কারণে অনেক দাম্পত্য জীবন নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তারই দৃষ্টান্ত আজকের এই ঘটনা। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় এলাকাবাসী সহ নিন্দা জানিয়েছে অনেক নেটিজেন। অভিযুক্ত আসামি দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন তারা।

আরও খবর

Sponsered content