স্বাস্হ্য ও জীবন পরিচর্যা

সোমবার ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদেরকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে

  প্রতিনিধি ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৬:২১:৫৪ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।সারাদেশে সোমবার অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন। এ উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ২ কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

রোববার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

ক্যাম্পেইনের আওতায় ৬-১১ মাস বয়সী ২৫ লক্ষ শিশুকে নীল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।এ ছাড়া ১২-৫৯ মাস বয়সী প্রায় ১ কোটি ৯৫ লাখ শিশুকে লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।সব মিলিয়ে ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানো হবে।

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন,দেশ স্বাধীন হওয়ার পরবর্তী সময়ে অপুষ্টিজনিত কারণে শিশুদের মাঝে রাতকানা রোগের হার ছিল ৪ দশমিক ১০ শতাংশ।বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে রাতকানা রোগ প্রতিরোধ কার্যক্রম গ্রহণ করেন।শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর উদ্যোগ নেন। পরবর্তী সময়ে বর্তমান সরকার ২০১০ সাল থেকে নিয়মিতভাবে বছরে দুইবার ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো অব্যাহত রেখেছে।বর্তমানে ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবজনিত রাতকানা রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা শূন্য দশমিক শূন্য চার শতাংশে নেমে এসেছে।

তিনি বলেন,ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর মাধ্যমে অন্ধত্ব প্রতিরোধ ছাড়াও শিশুর দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত হয়। শিশু মৃত্যু হার ২৪ ভাগ হ্রাস করে।হাম,ডায়রিয়া এবং নিউমোনিয়ার কারণে মৃত্যুহার উল্লে­খযোগ্য হারে কমে আসে।

মন্ত্রী জানান,লাল রঙের ক্যাসপুল আছে ২ লাখ আইইউ (ইন্টারন্যাশনাল ইউনিট) যার মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ ২০২৪ সালের জুন।আর নীল রঙের ক্যাপসুল আছে ১ লাখ আইইউ,যার মেয়াদ আছে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ক্যাম্পেইনের আওতায় কেন্দ্র সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার। স্বাস্থ্যসেবীর সংখ্যা প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার। আর স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়,শিশুদের ভরাপেটে কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে।কাঁচি দিয়ে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের মুখ কেটে এর ভেতরে থাকা সবটুকু তরল ওষুধ চিপে খাওয়ানো হবে। জোর করে বা কান্নারত অবস্থায় ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।৬ মাসের কম বয়সী এবং ৫ বছরের বেশি বয়সী এবং অসুস্থ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।

আরও খবর

Sponsered content