অপরাধ-আইন-আদালত

সিরাজগঞ্জে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে বসেছেন কলেজ ছাত্রী!

  প্রতিনিধি ৬ এপ্রিল ২০২৩ , ১:৫৫:৩৭ প্রিন্ট সংস্করণ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি।।সিরাজগঞ্জে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছে এক প্রেমিকা।তার দাবি বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেও বিয়ে না করার কথা বলেছে প্রেমিক লিখন কুমার রাজবংশী।এখন লিখন বিয়ে না করলে তার মরা ছাড়া গতি নেই।তাই প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছে কলেজছাত্রী।

অভিযুক্ত লিখন কুমার রাজবংশী জেলার বেলকুচিতে উপজেলার বেলকুচি পৌরসভার গাড়ামাশি পূর্বপাড়ার বানছা চন্দ্র রাজবংশীর ছেলে ও বেলকুচি সরকারি কলেজের অনার্স (সম্মান) দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।ভুক্তভোগী প্রেমিকা একই কলেজের ইন্টারমিডিয়েট দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

বুধবার রাতে উপজেলার গাড়ামাশি প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়,সেখানে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নিয়েছে কলেজ ছাত্রী প্রেমিকা।জানতে চাইলে অবস্থান নেওয়া কলেজ ছাত্রী বলেন,প্রায় এক বছর আগে সম্পর্ক হয় লিখনের সাথে।এর জের ধরে আমরা একসঙ্গে নানান জায়গায় ঘোরাফেরা করেছি এবং লিখনের বন্ধুর বাড়িতেও নিয়ে গেছে আমাকে।সেখানে নিয়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেছে লিখন।এরপর বিয়ের কথা বললেই সে তালবাহানা শুরু করে।আমি বাধ্য হয়ে গতকাল (বুধবার) দুপুর থেকে তার বাড়িতে এসে অনশন করছি।

কলেজ ছাত্রী আরও বলেন,আমি এখানে অনশন করার পর থেকেই আমাকে বিয়ে করবে না মর্মে জানিয়ে দিয়েছে লিখন।

এছাড়াও গতকাল রাত ১২টার দিকে লিখন,তার বাবা-মা ও দাদারা মিলে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে।আমি তাদের পায়ে ধরে কোনোরকমে এখানে থাকতে পেরেছি।যেহেতু লিখনের সঙ্গে আমার একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়ে গেছে তাই লিখনকে বিয়ে করা ছাড়া আমার উপায় নেই।তাকে বিয়ে না করলে আমাকে মরতে হবে।
এদিকে শারীরিক সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছে প্রেমিক লিখন।তিনি বলেন,তার সাথে আমার সম্পর্ক ছিল এটা সত্য, কিন্তু অন্যান্য আরও ছেলের সাথে তার সম্পর্ক আছে।আমি এই মেয়েকে কোনোভাবেই বিয়ে করতে পারব না।

লিখনের দাদা রিপন কুমার রাজবংশী বলেন,লিখন বলেছে এই মেয়ে ভালো না।আমরা জেনে শুনে কোনোভাবেই এই মেয়ের সাথে আমার ছোট ভাইয়ের বিয়ে দিতে পারি না। গতকাল মেয়ের অভিভাবকরা এসেছিলেন।রাতে স্থানীয় কিছু মাতবররা বসে মেয়েকে এক লাখ টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছি।

বেলকুচি পৌরসভার স্থানীয় ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জুলফিকার মাহমুদ শিপন বলেন,মেয়ের পরিবারকে খবর দিয়ে আনা হয়েছিল।এলাকার মাতবররা বসে একটা সমাধানে আসা হয়েছিল।কিন্তু এর মধ্যেই মেয়ের পরিবার কিছু না বলে চলে যায়।আমরা বসে প্রমাণ পেয়েছি এই মেয়ের একাধিক ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে।লিখনের পরিবার এই মেয়ের সঙ্গে তাদের ছেলের বিয়ে দেবে না বলেও জানিয়েছে।

বেলকুচি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন,বিষয়টি আমি জেনেছি।কিন্তু এ ঘটনায় থানায় কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি।অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও খবর

Sponsered content