স্বাস্হ্য ও জীবন পরিচর্যা

OT মানে শিখলেও ICU, CCU, MBBS মানে জানেন না ভুয়া ডাক্তার মুনিয়া

  প্রতিনিধি ২৭ মার্চ ২০২৪ , ৫:৪৩:২৫ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।আমি ভুয়া ডাক্তার না,আমি রিয়েল। আমি জাস্ট প্রতিবাদ করতে গিয়েছি সে কারণেই আমাকে ভুয়া ডাক্তার বলা হচ্ছে।বাচ্চা পাচার করতো একটা চক্র। অনেকমাস ধরে আমি এমনটা দেখে যাচ্ছিলাম,এটা নিয়ে আমি লড়তে গিয়েছিলাম তারাই আমাকে ভুয়া ডাক্তার হিসেবে ধরিয়ে দিয়েছে।

তিনি দাবি করেন তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখা হয়েছিল।ভুয়া ডাক্তার হিসেবে স্বীকারোক্তি দিলে তবেই ছাড়া হবে।তাই বাধ্য হয়ে স্বীকারোক্তি দেন।শুধু তাই না,টেলিভিশনে তিনি ঘাবড়ে গিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি বলে দাবি করেন।

তিনি বলেন,আমি আসলে নার্ভাস হয়ে গেছিলাম তাইও ওটি ও আইসিইউয়ের মানে বলতে পারিনি।ওটি মানে জানতে চাওয়া হয়।তিনি অপারেশন থিয়েটার বলতে পারলেও আইসিইউ,সিসিইউ কিংবা আরএক্স-এর মানে বলতে পারেননি।

গতকাল নাগরিক টিভির ফেসবুক পেইজ থেকে ভাইরাল ডাক্তার মুনিয়ার একটি সাক্ষাৎকারের অংশ ছড়িয়ে পড়ে।ওই ভিডিওতে দেখা যায় তিনি চিকিৎশাস্ত্রে ব্যবহৃত সাধারণ কিছু শব্দের অর্থও বলতে পারছেন না।

তাকে জিজ্ঞেস করা হয় ওটি মানে কী? তিনি বলেন,ওটি মানে সার্জারি করা,ওটি করা। প্রশ্নকারী আবার বলেন, ওটির একটি অর্থ আছে। এটার পুরো মানেটা কী? তিনি উত্তর দিতে পারেননি।

তাকে জিজ্ঞেস করা হয় আইসিইউ মানে কী,এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বলেন,যেখানে রোগীকে আইসিইউতে মানে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়,অক্সিজেন দেওয়া হয়।তাকে আবার জিজ্ঞেস করা হয় আইসিইউ মানেটা কী, তিনি উত্তর দিতে পারেননি।

একটি রোগীর বিষয়ে কথা বলছিলেন মুনিয়া।উপস্থাপক তাকে জিজ্ঞেস করেন কী হয়েছিল তার?মুনিয়া বলেন,ব্রেন স্টোমাক। উপস্থাপক বুঝতে না পেরে আবার জিজ্ঞেস করেন ব্রেইন টিউমার?মুনিয়া বলেন,না;ব্রেইন স্টোমাক হয়েছে।

গত ডিসেম্বরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে আনসার সদস্যরা মুনিয়া খান রোজা (২৫) নামে এক ভুয়া গাইনি চিকিৎসককে আটক করেন।এরপর তাকে প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। সেখান থেকে ওই তরুণীর ঠাই হয় জেলহাজতে।পরে তিনি জেল থেকে বের হয়ে দাবি করেন তিনি ভুয়া ডাক্তার না।

মুনিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে তিনি ডাক্তার কী না,কেন টিকটক করেন।এর উত্তরে মুনিয়া বলেন,আমি যদি ডাক্তার না হই তাহলে কী আমাকে ঢাকা মেডিকেলে এমনি এমনি পেশেন্ট দেখতে দেয়?

অভিযুক্ত তরুণী ঢাকা মেডিকেল থেকে বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভাগিয়ে নিতেন এবং সুযোগ পেলে চিকিৎসকদের রুমে ঢুকে মোবাইলসহ বিভিন্ন মালামাল চুরি করতেন।এ ছাড়া নীলক্ষেত থেকে অ‍্যাপ্রোন,আইডি কার্ড এবং মিডফোর্ড থেকে স্টেথোস্কোপ কিনে প্রতারণায় ব্যবহার করতেন এবং নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিতেন।

আরও খবর

Sponsered content