রাজনীতি

সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্য কালো কাপড়ে ঢেকে দিয়েছে-ছাত্রলীগ

  প্রতিনিধি ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ , ২:২৭:০১ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।ব্যানার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে বাম ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করার পর উল্টো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) অবস্থিত সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্য কালো কাপড়ে ঢেকে দিয়েছে ছাত্রলীগ।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে এমন চিত্র দেখা যায়।

এ সময় ভাস্কর্যে ‘সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে ছাত্র ইউনিয়নের সন্ত্রাসী কার্যক্রম’লেখা ব্যানারও জড়িয়ে দেওয়া হয়।

জানা যায়,মঙ্গলবার রাতে বিক্ষোভের পর রাজু ভাস্কর্য কালো কাপড়ে ঢেকে দেন ছাত্রলীগ নেতারা।

এ বিষয়কে রাজু ভাস্কর্যের ওপর বিদ্রুপ বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্র ইউনিয়নে ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক মাঈন আহমেদ।

তিনি বলেন,১২ দিন ধরে রাজু ভাস্কর্যের সামনে ব্যানার লাগিয়ে ছাত্রলীগ ন্যূনতম শিষ্টাচার লঙ্ঘন করেছে।

আমরাও এখানে অনেক রাজনৈতিক প্রোগ্রাম করি।কিন্তু ব্যানার দিয়ে দীর্ঘদিন একটি স্থান দখল করা রুচিবোধ বহির্ভূত।

তিনি বলেন,এর প্রতিরোধ করায় ছাত্রলীগ আমাদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা করল।এখন তারাই আমাদের সন্ত্রাসী ট্যাগ দিচ্ছে।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বাংলানিউজকে বলেন,রাজু সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আত্মত্যাগ করেছিল।সেখানে ছাত্র ইউনিয়নের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে রাজু লজ্জায় মুখ ঢেকে ফেলেছে।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা লজ্জায় ভাস্কর্যের মুখ ঢেকে দিয়েছে।

তিনি বলেন,বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ রয়েছে। ছাত্রলীগ যেমন দেয়ালে লিখছে,ছাত্র ইউনিয়নও লিখছে। কেউ কাউকে বাধা দিচ্ছে না।কিন্তু গতকাল ছাত্র ইউনিয়ন সেই গণতান্ত্রিক পরিবেশ নষ্ট করেছে।তারা হামলা করে ‘থ্যাংক ইউ শেখ হাসিনা’ লেখা ব্যানারে ভাঙচুর করেছে।তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন,উদ্বোধন ১৩ তারিখ হলে ব্যানারও ১৩ তারিখ থাকবে,এটাই তো স্বাভাবিক।অথচ তাদের খোঁড়া দাবি, ‘এই ব্যানারটি ভাস্কর্যের সামনে এতদিন কেন থাকবে!’

গতকাল (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজু ভাস্কর্যের সামনে লাগানো ‘মেট্রো এট টিএসসি,থ্যাঙ্ক ইউ শেখ হাসিনা’ লেখা ব্যানার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে বাম সংগঠনগুলোর ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ।হামলার পরপরই শাহবাগ পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল ও রাজু ভাস্কর্যে সমাবেশ করে ছাত্রলীগের বিভিন্ন হল শাখার নেতারা।এতে বাম সংগঠনগুলোকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।

একই সঙ্গে ছাত্র ইউনিয়নকে প্রকাশ্যে সাংগঠনিকভাবে ক্ষমা চাওয়া ও জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান অংশগ্রহণকারীরা।

আরও খবর

Sponsered content