ব্যবসা ও বাণিজ্য সংবাদ

মাত্র ২৭ বছর বয়সেই ৯ হাজার কোটি টাকার মালিক

  প্রতিনিধি ২৩ মে ২০২৩ , ৩:০৭:২৪ প্রিন্ট সংস্করণ

অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট।।: মাত্র ২৭ বছর বয়সেই ৯ হাজার কোটি টাকার মালিক এক বাঙ্গালী তরুণী!মাত্র সাতাশ বছর বয়সে অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখালেন এক বঙ্গতনয়া। তাঁর নাম অঙ্কিতি বসু।ব্যবসা শুরু করেছিলেন মাত্র ২১ লক্ষ টাকা নিয়ে।মাত্র চার বছরে তা ফুলেফেঁপে দাঁড়াল ৯ হাজার ৮০০ কোটিতে।কোনও সংস্থার ব্যবসা ১০০ কোটি মার্কিন ডলার পেরোলে,কাল্পনিক জন্তুর নাম অনুসারে ইউনিকর্ণ তকমা জোটে।অঙ্কিতির ফ্যাশন ই-কমার্স সংস্থা জিলিঙ্গো ইতিমধ্যেই তা পেয়ে গিয়েছে।তার জেরে কনিষ্ঠতম ভারতীয় মহিলা নির্বাচিত হলেন অঙ্কিতি,যিনি কোনও ইউনিকর্ণ সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও।

বাঙালি পরিবারে জন্ম হলেও,বাংলার বাইরেই বেড়ে ওঠা অঙ্কিতি বসুর।২০১২ সালে মুম্বইয়ের সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে অর্থনীতি ও গণিত নিয়ে পড়াশোনা করেন তিনি। তার পর চাকরি শুরু করেন মার্কিন কনসাল্টিং সংস্থা ম্যাকিনজির মুম্বই শাখায়।সেখান থেকে যোগ দেন অন্য একটি মার্কিন সংস্থা সেকোয়া ক্যাপিটালসের বেঙ্গালুরু অফিসে।তেইশ বছর বয়সে বেঙ্গালুরুতেই বছর চব্বিশের ধ্রুব কপূরের সঙ্গে আলাপ তাঁর।আইআইটি গুয়াহাটি থেকে পড়াশোনা সেরে গেমিং স্টুডিয়ো কিউয়ি আইএনসি-তে সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কর্মরত ছিলেন ধ্রুব।

চাকরি ছেড়ে নিজের মতো কিছু করার স্বপ্ন ছিল দুজনেরই। প্রথমেই ই-কমার্স সাইট খোলার কথা মাথায় আসে তাঁদের। কিন্তু ভারতে তখন ফ্লিপকার্ট,অ্যামাজনের মতো সংস্থা জাঁকিয়ে বসে।তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পেরে ওঠা যাবে না বুঝেছিলেন তাঁরা।তাই চিন্তাভাবনা জারি থাকে।

সে বছরই ব্যাঙ্কক বেড়াতে গিয়ে চোখ খুলে যায় অঙ্কিতির। সেখানকার চতুচক বাজারে ঢুকে স্থানীয় ডিজাইনারদের তৈরি পোশাক,জুতো,ব্যাগ এবং অ্যাকসেসরিজ ইত্যাদি নজর কাড়ে তাঁর।ভাষাগত সমস্যা থাকায়,স্থানীয় ব্যবসায়ীদের পক্ষে সেগুলি বাইরের লোকের কাছে পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে না বুঝতে পারেন তিনি।তখনই মাথায় আইডিয়া আসে।দেশে ফিরে ধ্রুবের সঙ্গে আলোচনা সারেন অঙ্কিতি।চাকরি ছেড়ে ২১ লক্ষ টাকা পুঁজি নিয়ে কাজে লেগে পড়েন তাঁরা।

তবে যাত্রা সহজ ছিল না।মার্কেট রিসার্চ সারতেই প্রায় একবছর লেগে যায় তাঁদের। ব্যাঙ্ককের বাজারে ঘুরে ঘুরে ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনলাইন ব্যবসায় আগ্রহ গড়ে তুলে শুরু করেন অঙ্কিতি।বেঙ্গালুরুতে বসে প্রযুক্তিগত দিকটা সামলাতে শুরু করেন।ধ্রুব দক্ষিণ এশিয়ার বাজার দখল করতেই আগ্রহী ছিলেন তাঁরা।সেই মতো কাজ শুরু করেন।গত চারবছরে সিঙ্গাপুর,ফিলিপিন্স,ইন্দোনেশিয়া,মালয়েশিয়া,তাইওয়ান,চিন, কোরিয়া এবং কম্বোডিয়ার বাজার দখল করতে সফল হয়েছে জিলিঙ্গো। ভারত এবং অস্ট্রেলিয়াতেও লেনদেন শুরু হয়েছে।

একসময় যে সেকোয়া সংস্থার কর্মী ছিলেন অঙ্কিতি,আজ তারাও জিলিঙ্গোয় ২২ কোটি ৬০ লক্ষ মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। বিনিয়োগ রয়েছে সিঙ্গাপুরের তামসেক হোল্ডিং প্রাইভেট লিমিটেডের।এই মুহূর্তে জিলিঙ্গোর সিইও অঙ্কিতি। সিঙ্গাপুরে সংস্থার সদর দফতর সামলান তিনি। বেঙ্গালুরুতে ১০০ জন কর্মীকে নেতৃত্ব দেন ধ্রুব।তিনি সংস্থার প্রযুক্তিগত প্রধান (সিটিও)।

আরও খবর

Sponsered content