সারাদেশের খবর

পটিয়ায় পিআইও অফিস জীবনের হাতে জিম্মি-বেড়েছে অনিয়ম দুর্নীতি!!!

  প্রতিনিধি ২২ জুন ২০২২ , ৩:২২:১২ প্রিন্ট সংস্করণ

পটিয়া প্রতিনিধিঃ-পটিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ( পিআইও) অফিসে অনিয়ম,দুর্নীতি কোনভাবে বন্ধ করা যাচ্ছে না।

প্রতিটি প্রকল্প থেকে মানুষের কাছ থেকে ২/৩ হাজার টাকা আদায় করার অভিযোগ ওঠেছে।এ টাকা সংগ্রহ করে থাকেন পিআইও অফিসের অফিস সহায়ক জীবন চন্দ্র দাস।কেউ ঘুষের টাকা দিতে না চাইলে তাকে নানাভাবে হয়রানি করে থাকেন।

দীর্ঘদিন প্রকল্প কর্মকর্তার অফিসে সে ঘুষ বাণিজ্য চালালেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। চলতি ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) স্থানীয় সংসদ সদস্যের অনুকুলে ৩১৮ মেঃটন চাউল বরাদ্দ দেন।

এসব চাল প্রক্রিয়া করে উঠাতে টন প্রতি অফিস খরচের কথা বলে গত এক সপ্তাহে ৬ লাখ ৩৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

জানা গেছে, পটিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা( পিআইও) অফিসে অনিয়ম,দু্নীর্তিতে জড়িয়ে পড়েছেন এমএলএসএস (অফিস সহাকারী) জীবন।

উপজেলার কচুয়াই, খরনা, শোভনদন্ডী, ছনহরা, হাইদগাঁও, দক্ষিণ ভুষি, ধলঘাট, জঙ্গলখাইন, বড়লিয়া, আশিয়া, কাশিয়াইশ, কোলাগাঁও, হাবিলাসদ্বীপ, জিরি, কুসুমপুরা,কেলিশহর ও ভাটিখাইন ইউনিয়নে সরকারি প্রকল্প বরাদ্দ দিলেই প্রতি প্রকল্প থেকে অবৈধভাবে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে পিআইও অফিসের জীবন।

বর্তমানে অতিরিক্ত পিআইও হিসেবে পটিয়ায় কর্মরত জামিরুল ইসলাম।তিনি আনোয়ারা ও হাটহাজারী উপজেলায় দায়িত্বে রয়েছেন।

যার কারনে পিআইও অফিসের সকল কাজ জীবন চন্দ্র দাশ ও অফিস সহায়ক আমিনুল ইসলাম দেখভালো করেন।এমএলএসএস জীবনের সহযোগিতায় উপজেলার শোভনদন্ডী ইউনিয়নে ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটে।

এঘটনায় শোভনদন্ডীর আবুল কালাম নামের একব্যক্তি লিখিত অভিযোগ করার পর তৎকালীন পিআইও সুপ্তশ্রী সাহা টাকা আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছেন।

প্রতিটি ইউনিয়নে বরাদ্দ দেওয়া প্রকল্পগুলো তদন্ত করলে জীবনের অপকর্ম ফাঁস হবে।

তবে অফিসের নির্ভরযোগ্য একটি সুত্র জানিয়েছে প্রতি প্রকল্প থেকে টাকা সংগ্রহ করে ওই টাকা ডাচ বাংলা ব্যাংকে অমিতের মাধ্যমে জমা করে থাকেন।

নাম প্রকাশ না শর্তে মুজাফরাবাদ এলাকার এক প্রকল্প সভাপতি জানিয়েছেন, তার এলাকার উন্নয়নের জন্য একটি প্রকল্প বরাদ্দ দেন।

এ প্রকল্পের টাকা উত্তোলন করতে অফিসের খরচের কথা বলে টন প্রতি ২ হাজার টাকা করে নিয়েছেন৷ এভাবে টন প্রতি টাকা আদায় করা হয়েছে।অফিসের এক কর্মচারী বিষয়টি স্বীকারও করলেও এ নিয়ে বিস্তারিত কথা বলতে রাজি হননি।

এ ব্যাপারে পিআইও অফিসের এমএলএসএস জীবন চন্দ্র দাস বলেন, বর্তমান অতিরিক্ত কর্মকর্তা হিসেবে জমিরুল স্যার আছেন। পটিয়া অফিসে কাজের চাপ রয়েছে। প্রতি প্রকল্প থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয় বলে জানান।

আরও খবর

Sponsered content