সারাদেশের খবর

প্রধাননমন্ত্রীর উদ্ভোধনের অপেক্ষায় শ্রীপুরে আশ্রয়ন প্রকল্প

  প্রতিনিধি ২০ মার্চ ২০২৩ , ৬:১৮:২৮ প্রিন্ট সংস্করণ

গাজীপুর প্রতিনিধি।।কটি ঘর শুধু ঘর নয়,এর সাথে জড়িয়ে থাকে আস্থা,স্বপ্ন ও একজন মানুষের বেঁচে থাকার প্রেরণা, দেশের গৃহহীন মানুষের হৃদয়ের এ অব্যক্ত প্রত্যাশাগুলো বহু আগেই ভাবনাতে এনেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি এ মহতী কাজের উপলক্ষ হিসেবে বেছে নেন জাতীর পিতার জন্ম শতবর্ষকে।তিনি বলেছিলেন,দেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না।শুরু হয় গৃহহীন মানুষের জন্য সরকারী খরচে জমি ও বাড়ী উপহার দেয়ার মহতি উদ্যোগ।

আগামী ২২মার্চ সারাদেশের সাথে একযোগে প্রধানমন্ত্রী গাজীপুরের শ্রীপুরের নয়াপাড়া গ্রামের সর্ববৃহৎ আশ্রায়ণ প্রকল্পের উদ্ধোধন করবেন।এর সাথে সাথেই দেশের প্রথম জেলা হিসেবে গাজীপুর গৃহহীনমুক্ত জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে।প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কঠোর নজরদারীতেই এমন সাফল্য এসেছে বলে অভিমত সবার।প্রধানমন্ত্রীর এমন উদ্যোগে প্রশংসার ফুলঝুড়িও সাধারণ মানুষের মধ্যে।

গাজীপুর জেলা প্রশাসনের দেয়া তথ্য মতে,আগামী ২২মার্চ প্রধানমন্ত্রী শ্রীপুরের নয়াপাড়া গ্রামের যে আশ্রায়ণ প্রকল্পটি উদ্ভেধন করতে যাচ্ছে এটিতে সর্বোচ্চ সংখ্যক ১৪২টি পরিবার বসবাস করবে।এটি ঢাকা বিভাগের একটি মডেল সর্ববৃহৎ আশ্রায়ন প্রকল্প।সকল আধুনিক সুযোগ সুবিধা নিয়ে এ আশ্রায়ণ প্রকল্পটি নির্মাণ করা হয়েছে।

এখানে দারিদ্র বিমোচনে শেখ হাসিনা মডেলকে ব্যবহার করা হচ্ছে।প্রত্যেকটি পরিবার যাতে স্বাবলম্বী হতে পারে সে অনুযায়ী সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে।গাজীপুরে ১৮১৭টি ক শ্রেণির পরিবার ছিল যাদের জমি ও বাড়ি ছিল না,এর উদ্ভোধনের মাধ্যমে প্রত্যেকটি পরিবারের জমি ও বাড়ির অধিকার প্রতিষ্ঠা হলো। সাথে দেশের প্রথম জেলা হিসেবে গৃহহীনের অপবাদ মুক্ত হচ্ছে গাজীপুর।

২ নং গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার নিজাম উদ্দিন বলেন,প্রধানমন্ত্রীর ‘‘গ্রাম হবে শহর’’ এই ঘোষণার একটি বাস্তব উদাহরণ হতে পারে এই আশ্রয়ণ প্রকল্প।এখানে এক সময় গভীর জঙ্গল ছিল কিন্তু আজকে সেখানে হয়েছে সকল সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন একটি পরিকল্পিত আধুনিক নগরী।

গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান বলেন,শ্রীপুরের নয়াপাড়া গ্রামের সর্ববৃহৎ যে আশ্রায়ণ প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রী উদ্ধোধন করবেন,সেটিতে অর্ন্তভূক্তিমূলক উন্নয়নের শেখ হাসিনা মডেলের পূর্নাঙ্গ রুপ বাস্তবায়নের চেষ্টা আমরা করেছি। এখানে বসবাসরত পরিবারকে শুধু ঘর দেয়া নয় তার জীবিন ও জীবিকার অন্যান্য বিষয়গুলো যেমন কর্মসংস্থান, শিল্পকারখানার সাথে কৃষির উপর নির্ভর করে যেন জীবন ও জীবিকা চালাতে পারে সেজন্য সমবায় সমিতি করে তাদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণও শুরু হয়েছে।এখানের অবকাঠামো ব্যাপক পরিকল্পনা ও প্রশস্ত জায়গা নিয়ে করা হয়েছে।যাতে বিদ্যালয়,ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান,কবরস্থান,কমিউনিটি সেন্টার সহ পূর্নাঙ্গ পুনর্বাসন কার্যক্রমের কাজ করেছি।এই প্রকল্পের সাথে সাথেই গাজীপুরকে গৃহহীন মুক্ত জেলা ঘোষণার মাইলফলক এখন আমাদের সামনে।

আরও খবর

Sponsered content