প্রতিনিধি ২৩ ডিসেম্বর ২০২২ , ২:৪৪:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ
উলিপুর (কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি।।কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় যৌতুকের টাকা না পেয়ে পাষণ্ড স্বামী লিমন মিয়া (২৮) গরম ডাল ছুড়ে মারেন স্ত্রীর শরীরে, এতে ঝলসে যায় স্ত্রী মোছাঃ উম্মে হাবিবা রুমি (২৪) ও তার শিশু সন্তানের শরীর।পরে বাবার বাড়ির লোকজন খবর পেয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। ঘটনাটি ঘটেছে, উলিপুরের বজরা ইউনিয়নের পূর্ব বজরা সরকার পাড়া গ্রামে।
তথ্য সুত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের নাজিম উদ্দিনের পুত্র লিমন মিয়ার সাথে ৬ বছর পূর্বে পার্শ্ববর্তী তবকপুর ইউনিয়নের বামনাছড়া মাস্টার পাড়া গ্রামের দিনমজুর রফিকুল ইসলামের মেয়ে উম্মে হাবিবা রুমির সাথে ইসলামি শরিয়া অনুযায়ী বিবাহ হয়।বিবাহের সময় দিনমজুর পিতা রফিকুল ইসলাম জামাই লিমন মিয়াকে এক লক্ষ টাকা যৌতুক দেন।
এর কিছুদিন পর আরো এক লাখ টাকার আনার জন্য স্বামী,শ্বশুর-শ্বাশুড়ি প্রায় সময় রুমিকে চাপ দিতো।বাবা টাকা দিতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয় রুমি। এ নিয়ে রুমিকে প্রায় সময় তারা শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতো। এ বিষয়ে গ্রামে কয়েক দফা সালিশ বৈঠকও হয়। এরই মধ্যে তাদের কোল জুড়ে আসে ফুটফুটে পুত্র সন্তান।
১৯ ডিসেম্বর সকালে যৌতুকের টাকার জন্য রুমিকে শারীরিক নির্যাতন করে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন।এক পর্যায় লিমন স্ত্রীকে লক্ষ্য করে গরম ডাল ছুড়ে মারে।এতে রুমি ও ১৪ মাসের সন্তান রিফাত হাসানের শরীরে পড়ে বিভিন্ন স্থান ঝলসে যায়।
রুমি তার বাবাকে ফোনে বিষয়টি জানায়।
এরপর রুমির বাবা রফিকুল এবং সাথে আরো কয়েকজন নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদেরকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসার পথে জামাই তার অসুস্থ শিশু সন্তানকে কেড়ে নেয়।গুরুতর আহত রুমিকে তার বাবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। পরে থানা পুলিশ আহত শিশুকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়।বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভূগী উলিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে পাষণ্ড স্বামী লিমন মিয়ার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।উলিপুর থানা অফিসার ইনচার্জ শেখ আশরাফুজ্জামানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, শিশুটিকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পরবর্তীতে আর কেউ লিখিত অভিযোগ নিয়ে আমার কাছে আসেনি।