সারাদেশের খবর

ঝালকাঠিতে গভীর রাতে অটোরিকশা গ্যারেজের শাটারের তালা ভেঙ্গে ২টি অটোরিক্সা চুরি

  প্রতিনিধি ১৯ অক্টোবর ২০২২ , ১২:২৬:০২ প্রিন্ট সংস্করণ

ঝালকাঠি প্রতিনিধি।।ঝালকাঠি’র রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া গ্রামে আজ গভীর রাতে অটোরিক্সা গ্যারেজের শাটারের তালা ভেঙ্গে ২টি অটোরিক্সা চুরি হয়েছে।

স্হানীয়রা জানান, ইদুর বাড়ির”রাজাপুর-পিরোজপুর সিএন্ডবি সড়ক”সংলগ্ন সাখাওয়াত হোসেন-এর বাড়ির সন্মুখের পূর্ব পাশের ১টি গ্যারেজের শাটারের তালা ভেঙ্গে ২টি অটোরিকশা কে বা কারা আজ গভীর রাতে চুরি করে নিয়ে গেছে।

অটোরিকশা ২টির মালিক একই উপজেলার নৈকাঠী গ্রামের মৃত জবেদ আলী মাঝি’র পুত্র আকছান মাঝি ও একই গ্রামের মিজানুর রহমান মিজু।আকছান মাঝি ও মিজু নৈকাঠী গ্রামের অতি দরিদ্র পরিবারের সন্তান।তারা এই অটোরিকশা চালিয়ে কোনমতে পরিবার-পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো।আকছান মাঝি অটোরিকশা চালানোর পূর্বে দিনমজুর শ্রমিক ছিল ও মাঝে মাঝে খাল-খেতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতো।মিজু জন্ম থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধী;সে দুই পা দিয়ে স্বাভাবিক ভাবে হাঁটতেও পারে না।তাদের এই দুই পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস ছিল দুইটি অটোরিকশা।

আজ রাতে তাদের এই অটোরিকশা দুইটি চুরি করে নিয়ে যাওয়ায় তারা এখন অসহায় ও সম্পূর্ণ বেকার হয়ে পড়েছে এবং তাদের পরিবার দুইটি অনাহারে-অর্ধাহারে যা মানবেতর ভাবে দিন কাটাতে হবে।

একাধিক সূত্রে জানা যায় যে, এই অটোরিকশা চোরচক্র গত রাতে(আনুমানিক রাত দুইটার পরে)একটি বড় পিকঅ্যাপ ভ্যানে অটোরিকশা দুইটি তুলে বেকুটিয়া’র কচা নদীর উপরে নির্মিত “বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ৮ম বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সেতু” পার হয়ে পিরোজপুরের দিকে চলে গিয়েছে;এই দৃশ্য নাকি সাতুরিয়া-বেকুটিয়া সড়কের পথিমধ্যে বসানো সিসি ক্যামেরায় দেখা গেছে।

একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে আরও জানা যায় যে,দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি বড় বড় দুর্ধর্ষ ডাকাত বাহিনী ডাকাতির মামলা ও বড় ধরনের থানা পুলিশের ঝামেলা এড়ানোর জন্য তাদের ডাকাতির কর্মকাণ্ডের ধরন পরিবর্তন করে কয়েক বছর যাবত যে কোন পরিবহন( রিকসা, ভ্যান গাড়ি,অটোরিকশা, মোটরসাইকেল,টমটম গাড়ি) ও গরু-ছাগল চুরির পথ বেছে নিয়েছে;এই পথ ও পদ্ধতি ডাকাত বাহিনীর কাছে নিরাপদ ও ঝামেলা মুক্ত ।

তারা এক অঞ্চলের চোরাইকৃত মালামাল অন্যাঞ্চলে নিয়ে বিক্রি করে ঝামেলা মুক্ত থাকে।এই বাহিনীর সহযোগী ও সোর্সের সংখ্যা অনেক এবং বিভিন্ন পেশার লোকজন তাদের পেশার সঙ্গে জড়িত।বর্তমানে এই পেশা কোন ঝামেলা ও মূলধন ছাড়াই লাভজনক এবং ঝুঁকিমুক্ত।

বিষয়টি সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে বিভিন্ন স্তরের অপরাধ ঘাঁটিতে তদন্ত করলে এর সঠিক তথ্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের পথ উন্মুক্ত হবে।

আরও খবর

Sponsered content