সারাদেশ

ঘূর্ণিঝড় মোখা: গাছের সঙ্গে ঘর বেঁধে রাখছেন নদীতীরের বাসিন্দারা

  প্রতিনিধি ১৩ মে ২০২৩ , ৪:১৬:১২ প্রিন্ট সংস্করণ

বরগুনা জেলা প্রতিনিধি।।ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় যেমন স্থানীয় প্রশাসন প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে,ঠিক তেমনি প্রস্তুতি নিয়েছেন বরগুনা সদর উপজেলার নদী তীরের বাসিন্দারাও। স্থানীয়রা ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতি হিসেবে বাড়ি-ঘর রশি দিয়ে বেঁধেছেন গাছের সঙ্গে।

শনিবার (১৩ মে) সরেজমিনে দেখা গেছে, বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের মাছখালী ও লতাকাটা গ্রামের নদী তীরের অনেক বাসিন্দা তাদের ঘর মোটা রশি দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধেছেন।অনেকে আবার ঘরের পাশের গাছের ডালপালা কেটে ফেলেছেন। দুপুরে বরগুনায় ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারির পর নিজেদের প্রস্তুতি হিসেবে বসতঘর রক্ষার জন্য এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।

মাছখালী গ্রামের বাসিন্দা ওয়াহাব মিয়া বলেন,আমাদের বাড়ির পাশেই বিষখালী নদী। ঘূর্ণিঝড় উপকূলে আছড়ে পড়ার পর বিষখালী নদী থেকে ঝড়ো বাতাস সরাসরি আমাদের ঘরে আঘাত হানবে।তাই ঘূর্ণিঝড় থেকে ঘর রক্ষার জন্য রশি দিয়ে গাছের সঙ্গে ঘর বেঁধে রেখেছি।এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকটা কমবে।’

একই এলাকার বাসিন্দা সালমা বেগম বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র নিয়ে আমরা আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাব। তখন ঘর ফাঁকা পড়ে থাকবে। তাই ঘরের নিরাপত্তার জন্য চারপাশে গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে রেখেছি।’

লতাকাটা গ্রামের বাসিন্দা রশিদ মিয়া বলেন,বিষখালী নদী এবং আমাদের গ্রামের মাঝখানে নামে মাত্র একটি বেড়িবাঁধ আছে। স্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে এ বেড়িবাঁধ তলিয়ে যায়। সিডরের সময় বেড়িবাঁধ তলিয়ে এ গ্রামের অর্ধশতাধিক ঘর পানিতে ভেসে গিয়েছিল।তাই এ গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দা তাদের ঘর রশি দিয়ে শক্ত করে গাছের সঙ্গে বেঁধেছেন, যাতে জলোচ্ছ্বাসে ঘর ভাসিয়ে নিতে না পারে।’

এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় বরগুনায় ৬৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে।মজুত করা হয়েছে ২৯৪ মেট্রিক টন খাদ্য এবং ৪ লাখ নগদ অর্থ। এছাড়া গঠন করা হয়েছে ৪৯টি মেডিকেল টিম। প্রস্তুত রয়েছে প্রায় ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী।

আরও খবর

Sponsered content