লেখক ও কলামিস্ট এবং মন্তব্য কলাম:-

গ্রামে-গঞ্জে ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি খুঁজে পাওয়া কঠিন

  প্রতিনিধি ২১ অক্টোবর ২০২২ , ৯:৫৭:২২ প্রিন্ট সংস্করণ

মাজহারুল ইসলাম।।এখন কালের পরিক্রমায় আমাদের ঐতিহ্যের ঢেঁকি প্রায় বিলুপ্তর পথে। গ্রাম বাংলার গৃহস্থ বাড়িতে শোনা যায় না ঢেঁকির ছন্দময় শব্দ।ঢেঁকি একসময় আমাদের কৃষিকাজে নির্ভর গ্রামীণ জনপদে খুব দরকারি সামগ্রী ছিল। বর্তমানে গ্রামে-গঞ্জে ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি খুঁজে পাওয়া কঠিন। কালের বিবর্তনে বর্তমানে আমাদের অতীত ইতিহাস-ঐতিহ্য, সমাজ-সংস্কৃতির অংশ ঢেঁকির ব্যবহার হারিয়ে যাচ্ছে। আর এর ব্যবহার হারিয়ে গিয়ে ঢেঁকি এখন বিলুপ্ত।

হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি আমাদের গ্রাম বাংলার প্রাচীন গ্রামীণ ঐতিহ্যের একসময়ের অতি প্রয়োজনীয় সামগ্রী ঢেঁকি।গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশেও এর একটা বিশেষ গুরুত্ব ছিল।গ্রামীণ নারীরা চালের গুঁড়া দিয়ে চিতই পিঠা, রুটি পিঠা, তালের পিঠাসহ হরেক রকমের পিঠা তৈরি করতেন।

এসব তৈরি হতো ঢেঁকি ছাঁটা চালের গুঁড়া দিয়ে।কালের বিবর্তনে এসব পিঠা তৈরি ঢেঁকি ছাঁটা চালের গুঁড়া এখন তেমন ব্যবহার হয় না বললেই চলে।একসময় গ্রাম-গঞ্জসহ সর্বত্র ধান ভাঙ্গা, চাল তৈরি, গুঁড়া কোটা, চিড়া তৈরি, মশলাপাতি ভাঙ্গানোসহ বিভিন্ন কাজের জন্য ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত হতো চিরচেনা ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি।ঢেঁকিতে চিড়া কোটা আবহমান গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের অংশজুড়েই আছে।ঢেঁকি ছাঁটা চালের কদর ছিল খুব বেশি। তাই ঢেঁকি ছাঁটা চালের চাহিদা আজও কমেনি।এক সময় গ্রামের ছোটবড় গৃহস্থ বাড়িতে ঢেঁকি থাকাটা বনেদি সমৃদ্ধ গৃহস্থ পরিবারের পরিচয় বহন করত।

‘আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহারের ফলে এখন ঢেঁকিশিল্প বিলুপ্ত।ব্যবহার না থাকায় হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি। আমাদের ছেলেমেয়েরা ঢেঁকি চেনে না। নতুন প্রজন্ম এই প্রাচীন ঐতিহ্য সম্পর্কে তেমন জানে না। তৎকালীন সময়ে আমরা জমি থেকে পাকা ধান কেটে এনে ঢেঁকিতে মাড়াই করতাম।এখন এই কাজটা মেশিনে সেরে নেই। মুলত ঢেঁকির ব্যবহার কমে যাওয়ার কারণে এটি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।

আরও খবর

Sponsered content