ব্যবসা ও বাণিজ্য সংবাদ

ইসবগুলের ভুসির দাম কেজিতে ৫০০ টাকা বাড়ানো হয়েছে

  প্রতিনিধি ৮ মার্চ ২০২৪ , ৫:১৬:০০ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।রমজানকে সামনে রেখে তেতে উঠেছে অসাধু চক্র। হু হু করে বেড়ে যাচ্ছে প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। সংকট না থাকলেও দাম বাড়িয়ে ক্রেতাদের পকেট কাটছে তারা। দিনভর রোজা রেখে শরবতে তৃপ্তি মেলে রোজাদারদের। আর সেই শরবতের সামগ্রীর দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে।

শরবত তৈরির উপকরণ ইসবগুলের ভুসির দাম কেজিতে ৫০০ টাকা বাড়ানো হয়েছে।এছাড়া রমজান নির্ভর বিভিন্ন খাদ্যপণ্য তৈরিতে ব্যবহৃত আলু,ধনেপাতা,পুদিনাপাতা,ট্যাং,রুহ-আফজার দামও অহেতুক বাড়ানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর জিনজিরা বাজার,কাওরান বাজার, নয়াবাজার ও মালিবাগ বাজার ঘুরে খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ইফতারে শরবত তৈরিতে ব্যবহৃত ইসবগুলের ভুসি,ট্যাং,রুহ-আফজার দাম বাড়ানো হয়েছে। প্রতি কেজি ইসবগুলের ভুসি দুই মাস আগে ১৬০০ টাকা বিক্রি হলেও এখন ২১০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।প্রতি কেজি প্যাকেটজাত ট্যাং বিক্রি হয়েছে ৮৫০ টাকা,যা আগে ৮০০ টাকা ছিল।বড় সাইজের রুহ-আফজা বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৫৫০ টাকা।যা আগে ৩৫০ টাকা ছিল।ছোট সাইজের রুহ-আফজা বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকা। যা আগে ২০০ টাকা ছিল।

প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা,যা ২ মাস আগেও ৯০ টাকা ছিল।বাজারে মান ও দাম ভেদে সাদা মুড়ি বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে গত ২ মাস আগে যে মুড়ি ৭০ টাকা ছিল তা এখন ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।প্রতি কেজি মাঝারিমানের তিউনিশিয়ান খেজুর বিক্রি হয়েছে ৬০০ টাকা।যা ২ মাস আগে ৩০০-৩৫০ টাকায় বিক্রি হয়।মান ও বাজারভেদে প্রতি কেজি বেসন বিক্রি হচ্ছে ৭০-১০০ টাকা।যা আগে ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হয়। বুটের ডাল প্রতি কেজি বিক্রি হয় ১১০ টাকা। যা আগে ৯০ টাকা বিক্রি হয়।

এ বিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেন,প্রতি বছর রোজা শুরুর আগে এসব পণ্যের চাহিদা তৈরি হয়।ক্রেতারা এক দিনের পণ্যের তুলনায় ১০ দিনের পণ্য কেনেন।ফলে বিক্রেতারা সুযোগ নিয়ে কারণ ছাড়াই দাম বাড়িয়ে বিক্রি করে। এটা যেন একটা সংস্কৃতি হয়ে গেছে।মূল্য বৃদ্ধির এই প্রবণতা থেকে বিক্রেতাদের বের হয়ে আসতে হবে।ক্রেতাদের ১০ দিনের পণ্য একদিনে কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে।পাশাপাশি বাজার তদারকি জোরদার করে মূল্যবৃদ্ধি কমাতে হবে।’

আরও খবর

Sponsered content