আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে,আগামী মাসের শুরুতে সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগে বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।তখন ওই দুই বিভাগে গরমের কষ্ট কমে আসতে পারে।উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে অবশ্য রাজধানী ঢাকা এবং রাজশাহী ও খুলনার মতো এতটা উষ্ণতা নেই। তবে মে মাসের বাকি সময়জুড়ে উত্তরেও গরমের তীব্রতা বেশি থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘এপ্রিল ও মে এমনিতেই আমাদের এখানে সবচেয়ে উষ্ণ মাস।এবার পূর্ব এশিয়ার মিয়ানমার থেকে থাইল্যান্ড,মালয়েশিয়া হয়ে লাওস পর্যন্ত আর দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ থেকে ভারত হয়ে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান পর্যন্ত তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, মূলত বৈশ্বিক আবহাওয়ায় এল নিনোর প্রভাবে এমন ঘটছে। সেই সঙ্গে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং এই অঞ্চলে দ্রুত ও অপরিকল্পিত নগরায়ণের কারণে অভ্যন্তরীণ তাপ তৈরি হয়েছে।এই তিন কারণে উষ্ণতা অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী,গতকাল বৃহস্পতিবার দেশের অন্তত ১৪টি জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ হয়ে গেছে।অর্থাৎ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করে গেছে।অর্ধেকের বেশি জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবে, গতকাল ঢাকায় দিনের তাপমাত্রা উঠে ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ২ ডিগ্রি।গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ১৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।