সম্পাদকীয়

আইন সবার জন্য সমান নয়-ক্ষমতা-টাকা থাকলে সহজে বিক্রয় হয়!!!

  প্রতিনিধি ১ অক্টোবর ২০২২ , ১:১১:৫১ প্রিন্ট সংস্করণ

মাজহারুল ইসলাম।।ধর্ষণের জন্য দায়ী কারা?ধর্ষণকারী নাকি সমাজের সকল স্তরের মানুষ।আমরা বলতে তারাই যারা সব দেখেও বলি, আমি তো কিছুই দেখিনাই। আমি তো সেদিন সেখানে ছিলাম না।এভাবে আমরা অন্যায়কে প্রশ্রয় দিই।

কারণ আমাদের মাঝে সব সময় ভয়-জড়তা কাজ করে। আজ যদি আমি তমুক নেতার ছেলে কিংবা ভাইয়ের বিরুদ্ধে স্বাক্ষ্যদি। তবে কাল আমি নিজেই বিপদে পড়ে যাবো। তার চেয়ে বরং বাড়িতে গিয়ে নাকে সরিষা তেল মেখে ঘুমাই। তাতে অন্তত আমি কোন বিপদে পড়বো না। এরকম সাত-পাঁচ ভেবে আমরা পিচ পা হই।

যার প্রেক্ষিতে অপরাধ কমার বদলে বেড়ে চলেছে। কমবে কেমন করে? আমরাই তো প্রশ্রয় দিচ্ছি ধর্ষণকারীদের। যেটা কখনো আমাদের দেশ-জাতির জন্য মঙ্গলময় কিংবা সম্মান বয়ে আনবে না।আচ্ছা,আমরা না বীরের সন্তান!

১৯৭১ সালে আমরা দেশ স্বাধীনের জন্য অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে ছিলাম।তবে কি আমাদের সেই বীররত্বগাথায় আজ নোংরা কালির দাগ পড়েছে।নাকি মস্তিষ্ক ব্যামো’তে আমাদের বীরত্ব লোপ পেয়েছে?এভাবে আর কতদিন চুপ করে অন্যায় সব মেনে নিবেন।আর কত ধর্ষিত নারীর লাশ কাঁধে তুলে কবরে নিলে, আপনাদের মাঝে মনুষ্যত্ব জাগ্রত হবে!বলতে পারেন? ছোট বেলায় ভাব-সম্প্রসারণে পড়েছিলাম”অন্যায় যে করে এবং যে সহে, দু’জনে সম-অপরাধী”

তবে কি ধর্ষণকারীদের মত আমরাও অপরাধী নই? নাকি তারা ধর্ষণ করেছে বলে তারা অপরাধী,আর আমি আপনি দুধ কিংবা গঙ্গার জলে ধোঁয়া তুলসি পাতা? দোষ আমাদের সকলের। আর আমাদের সমাজ, আইন ব্যবস্থার কথা কি বলতাম? তারা তো আরও বেশি ঘুমিয়ে থাকে।

অথচ, তাদের নিরাপত্তায় কিংবা পাহারায় আমাদের নিরাপদ মনে করার বদলে আমরা তাদের কাছে আরও বেশি ধর্ষিত হই।কারণ,ধর্ষিতাকেও তাদের কাছে বিচার চাইতে গিয়ে ধর্ষিত হতে হয়েছে।প্রমাণ দিতে শুতে হয়েছে মেডিকেল অপারেশন রুমে।রোজ ধর্ষিত হয়,কোট-কাছারিতে মামলা হয়।

তারপরে দু’তিন দিন দৌড়ঝাপ শেষে সব যেন শূণ্যে মিলিয়ে যায়। আর টাকা থাকলে তো মামু-খালুর অভাব হয়না। তখন আইনের বেড়াজাল থেকে খুব সহজে মুক্তি মিলে।

কিন্তু ধর্ষিত হয়ে বিচার পেয়েছে, সেরকম খুব কমই আছে। তাই হয় আমাদের আইন ব্যবস্থার উন্নত করুণ।দেশে যখন নির্বাচন ঘনিয়ে আসে।তখন তো ২৪ ঘন্টায় পুলিশ টহল জারি থাকে।আগে পরে থাকে না কেন?তবে কি আমরা সাধারণ জনগণ শুধুই সাধারণ জনগণ হয়ে থাকবো?নাকি আমাদের জীবনেরও মূল্য সরকার,আইনের কাছে আছে?যদি না থাকে, তবে স্পর্ষ্ট ভাষায় বড় অক্ষরে লিখে দেন।

তবে আমরা আপনাদের আর দোষারোপ করবো না।সবচেয়ে বড় শক্তিশালী মাধ্যম হচ্ছে মিডিয়া,তাই না? তবে তারা ধর্ষিতার ছবি কেন তুলবে,রসালো খবর ছাপিয়ে টাকা কামাতে,নাকি সত্যতা সামনে আনতে ধর্ষণকারীর ছবি তুলে প্রচার করবে,কোনটা? প্রশ্ন আরও অনেক ছিল!!!!

কিন্তু এতো এতো প্রশ্ন করে কি হবে?যদি সঠিক উত্তর না মিলে? তাই ধর্ষণকারীদের বাঁচিয়ে রাখুন!যতদিন না আপনাদের মস্তিষ্ক তারা ধর্ষণ না করতেছে।

আরও খবর

Sponsered content