সারাদেশ

অবন্তিকার আত্মহত্যা:-অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে ১২ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা

  প্রতিনিধি ১৬ মার্চ ২০২৪ , ৫:০২:২৫ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বাদী হয়ে মামলা করতে ও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে ১২ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়’ ব্যানারে এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে শিক্ষার্থীরা এই সময় বেঁধে দেন।

বেলা সাড়ে তিনটায় নতুন ভবন থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়।এরপর এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়কগুলো হয়ে প্রধান ফটক থেকে বেরিয়ে পুরান ঢাকার কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনের সড়ক ঘুরে আবার ক্যাম্পাসে ফিরে এসে শেষ হয়।

ফাইরুজ অবন্তিকা ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে কুমিল্লায় শহরে নিজেদের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন।

ফাইরুজের কয়েকজন বন্ধু জানিয়েছেন,তিনি ফেসবুক পোস্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সহপাঠীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানিসহ নানা ধরনের নিপীড়নের অভিযোগ করেন।ওই পোস্টে একজন সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে ছেলেটির পক্ষ নিয়ে তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণের অভিযোগও করেছেন তিনি।সেখানেই আত্মহত্যার কথা বলেন ফাইরুজ।

মিছিল শেষে প্রধান ফটকের সামনে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে পাঁচ দফা দাবি গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে পড়ে শোনান অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী রেজওয়ানুল হক।দাবিগুলো হলো, মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত,দোষীদের গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁদের বহিষ্কার,ঘটনার জন্য ভুক্তভোগীকে দোষী না করা ও তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত,বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বাদী হয়ে মামলা করা এবং নারী নিপীড়ন সেল কার্যকর করা। বলা হয়,১২ ঘণ্টার মধ্যে দাবি পূরণ না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।এরপর মিছিলটি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে ভাস্কর্য চত্বরে এসে সমাবেশে বক্তব্য দেয়।

সমাবেশে নাঈম রাজ বলেন,আগামীকাল দোষীদের গ্রেপ্তার ও দ্রুত সিন্ডিকেট সভা করে তাঁদের স্থায়ী বহিষ্কার না করা হলে আমরা প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করে রাখব।’

মুনিয়া আক্তার নামের এক শিক্ষার্থী বলেন,নারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিপীড়নের ঘটনা বছরের পর বছর ধরে চলে,আর ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের যে বিলম্ব হয় তাতে এ ধরনের ঘটনার প্রবণতা আরও বৃদ্ধি পায়।বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন দায়িত্বে অবহেলার নিন্দা করি।’

আরও খবর

Sponsered content