প্রতিনিধি ২৫ জানুয়ারি ২০২৫ , ৬:১৮:৪১ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক।।বিবাহ ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান, যা শুধু একটি সামাজিক বন্ধন নয়,বরং ব্যক্তি ও সমাজকে নৈতিক ও শারীরিকভাবে সুরক্ষা দেয়।এটি মানবজীবনের এমন একটি পবিত্র সম্পর্ক,যা ভালোবাসা,করুণা ও দায়িত্ববোধের মাধ্যমে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে।
কোরআন ও হাদিসের আলোকে বিয়ের গুরুত্ব
কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তাঁর (আল্লাহর) অন্যতম নিদর্শন হলো তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে সঙ্গিনী সৃষ্টি করেছেন,যাতে তোমরা তাদের মাধ্যমে শান্তি লাভ করো এবং তিনি তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও করুণা সৃষ্টি করেছেন।’ (সুরা : রুম, আয়াত : ২১)
বিবাহকে রাসুলুল্লাহ (সা.) দ্বিনের অর্ধেক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন,যখন কোনো ব্যক্তি বিবাহ করে,তখন সে তার দ্বিনের অর্ধেক পূর্ণ করে।বাকি অর্ধেকের ব্যাপারে সে যেন আল্লাহকে ভয় করে।’ (মুসতাদরাক হাকিম : ২৬৮০)
বিয়ের মাধ্যমে মানুষ পাপাচার থেকে বাঁচে এবং দৃষ্টি ও লজ্জাস্থান সংযত করতে সক্ষম হয়।রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে বিবাহের সামর্থ্য রাখে, সে যেন বিবাহ করে।
কারণ এটি তোমাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং লজ্জাস্থানের পবিত্রতা রক্ষা করে।’ (সহিহ বুখারি,হাদিস : ১৯০৫)
এমনকি রাসুলুল্লাহ (সা.) সেই ব্যক্তিকে অপছন্দ করতেন, যে বিয়ে করার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও বিয়ে করত না।তিনি বলেন, ‘বিয়ে আমার সুন্নত।যে আমার সুন্নত থেকে বিমুখ হয়,সে আমার উম্মত নয়।
’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫০৬৩)
সমাজ ও মাতা-পিতার দায়িত্ব
বিবাহের গুরুত্বের পাশাপাশি মাতা-পিতা এবং সমাজের ওপর বিশেষ দায়িত্ব আরোপ করা হয়েছে।যদি তারা এই দায়িত্ব পালন না করে,তাহলে তা সমাজে জিনা,ব্যভিচার ও নৈতিক অবক্ষয়ের জন্ম দেয়।
ক. মাতা-পিতার দায়িত্ব
১. বিবাহের উপযুক্ত বয়সে বিয়ে দেওয়া : মাতা-পিতার প্রধান দায়িত্ব হলো সন্তানদের উপযুক্ত সময়ে বিয়ের ব্যবস্থা করা। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন,যখন তোমাদের কারো সন্তান বিবাহযোগ্য বয়সে পৌঁছে,তখন তার বিয়ে দাও।যদি তা না করো,তবে সে কোনো গুনাহে লিপ্ত হলে তার পাপ তোমাদের ওপর বর্তাবে।
’ (মুসতাদরাক হাকিম : ২৭২১)
২. বিবাহ সহজ করা : যৌতুক এবং ব্যয়বহুল আয়োজনের মাধ্যমে বিয়ে জটিল করা ইসলামে নিষিদ্ধ।রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন,‘সবচেয়ে বরকতময় বিবাহ হলো,যা সবচেয়ে কম খরচে সম্পন্ন হয়।’ (মুসনাদ আহমাদ : ২৪৫৯৫)
৩. সন্তানের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব :সন্তান প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত তাদের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব পালন করা মাতা-পিতার কর্তব্য। ্কোরআনে আল্লাহ বলেন,‘তোমরা নিজেদের এবং তোমাদের পরিবারকে সেই আগুন থেকে রক্ষা করো, যার জ্বালানি হবে মানুষ ও পাথর।’ (সুরা : তাহরিম, আয়াত : ৬)
৪. সঙ্গী নির্বাচনে সচেতনতা :ধর্মীয় গুণাবলি বিবেচনা করে সন্তানদের জন্য সঙ্গী নির্বাচন করতে হবে।রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা নারীকে চারটি বিষয়ের জন্য বিবাহ করো : তার সম্পদ,বংশ,সৌন্দর্য ও ধর্মীয় গুণাবলি।আর তুমি ধার্মিক নারীকে বেছে নাও।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫০৯০)
খ. সমাজের দায়িত্ব
১. বিবাহকে সহজ করা :সমাজের উচিত যৌতুক প্রথা এবং অতিরিক্ত শর্তারোপ থেকে মুক্ত হয়ে বিবাহকে সহজলভ্য করা।
২. অনৈতিক কাজ প্রতিরোধ করা :বিবাহ বিলম্বিত হলে সমাজে জিনা-ব্যভিচার এবং অনৈতিক কাজ বৃদ্ধি পায়। আল্লাহ তাআলা বলেন,তোমরা জিনার কাছেও যেয়ো না। এটি অশ্লীল কাজ এবং খুবই মন্দ পথ।’ (সুরা : ইসরা/বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৩২)
৩. সচেতনতা বৃদ্ধি :সমাজে বিবাহের গুরুত্ব এবং এর পবিত্রতা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
গ. বিবাহ না করার পরিণতি
১. জিনা-ব্যভিচার বৃদ্ধি :বিবাহ বিলম্বিত করলে অনৈতিক কাজ সমাজে ছড়িয়ে পড়ে,যা পরিবার ও সমাজে অশান্তি সৃষ্টি করে।
২. মানসিক অস্থিরতা :বিবাহহীন জীবন মানুষের মধ্যে হতাশা ও অস্থিরতার জন্ম দেয়।
৩. সমাজে বিশৃঙ্খলা :পরিবার প্রতিষ্ঠিত না হওয়ায় সমাজে অস্থিতিশীলতা বাড়ে।
সুপারিশ
১. মা-বাবার উচিত সন্তানদের উপযুক্ত বয়স হলে দেরি না করে বিবাহের ব্যবস্থা করা।
২. সমাজকে যৌতুক,অতিরিক্ত ব্যয় এবং কুসংস্কার মুক্ত করতে উদ্যোগী হতে হবে।
৩. বিবাহ বিলম্বিত করার কারণে যে পাপাচার সমাজে ছড়িয়ে পড়ছে,তা প্রতিরোধে ইসলামের শিক্ষার প্রচার করতে হবে।
৪. যৌথ উদ্যোগে যুবসমাজকে নৈতিক পথে পরিচালিত করতে হবে এবং তাদের জন্য বিবাহকে সহজ করতে হবে।
বিবাহ ইসলামের একটি মহান বিধান,যা শুধু ব্যক্তি নয়,বরং সমাজকেও নৈতিকভাবে শক্তিশালী করে।মা-বাবা ও সমাজের উচিত কোরআন ও হাদিসের নির্দেশনা মেনে বিবাহকে সহজ করা এবং নৈতিক অবক্ষয় রোধে ভূমিকা পালন করা।আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে এই দায়িত্ব পালন করার তাওফিক দিন। আমিন।
news_google_icon_128কালের কণ্ঠের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
প্রাসঙ্গিক
সম্পর্কিত খবর
আজকের নামাজের সময়সূচি, ২৫ জানুয়ারি ২০২৫
আজকের নামাজের সময়সূচি, ২৫ জানুয়ারি ২০২৫
জনসভায় ‘কতলের’ পক্ষে যুক্তি দিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর
জনসভায় ‘কতলের’ পক্ষে যুক্তি দিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর
মাতা-পিতার কি সত্যিই একটি প্রিয় সন্তান থাকে?
মাতা-পিতার কি সত্যিই একটি প্রিয় সন্তান থাকে?
সরকারকে নিরপেক্ষ থাকার কথা বলেই যাবে বিএনপি
সরকারকে নিরপেক্ষ থাকার কথা বলেই যাবে বিএনপি
ইসলামী জীবন
প্রকাশ: শনিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১১:৪৯
আজকের নামাজের সময়সূচি, ২৫ জানুয়ারি ২০২৫
ইসলামী জীবন ডেস্ক
আজকের নামাজের সময়সূচি, ২৫ জানুয়ারি ২০২৫
আজ শনিবার, ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১, ২৪ রজব ১৪৪৬।
ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি নিম্নরূপ-
জোহরের সময় শুরু – ১২টা ১৪ মিনিট।
আসরের সময় শুরু – ৪টা ০৩ মিনিট।
মাগরিব- ৫টা ৪৩ মিনিট।
এশার সময় শুরু – ৭টা ০০ মিনিট।
আগামীকাল ফজর শুরু – ৫টা ২৭ মিনিট।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত ৫টা ৪০ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৪২ মিনিটে।
সূত্র : ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, বসুন্ধরা, ঢাকা।
news_google_icon_128কালের কণ্ঠের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
প্রাসঙ্গিক
ইসলামী জীবন
প্রকাশ: শনিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১১:৩৬
আজকের নামাজের সময়সূচি, ২৫ জানুয়ারি ২০২৫
অনলাইন ডেস্ক
আজকের নামাজের সময়সূচি, ২৫ জানুয়ারি ২০২৫
আজ শনিবার, ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১, ২৪ রজব ১৪৪৬।
ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি নিম্নরূপ-
জোহরের সময় শুরু – ১২টা ১১ মিনিট।
আসরের সময় শুরু – ৪টা ০৫ মিনিট।
মাগরিব- ৫টা ৪৩ মিনিট।
এশার সময় শুরু – ৬টা ৫৯ মিনিট।
আগামীকাল ফজর শুরু – ৫টা ২৩ মিনিট।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত ৫টা ৪০ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৪১ মিনিটে।
সূত্র : ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, বসুন্ধরা, ঢাকা।
news_google_icon_128কালের কণ্ঠের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
ইসলামী জীবন
প্রকাশ: শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫ ২০:০৫
আর্থিক সংকট মেটাতে ইসলামের ৬ নির্দেশনা
আলেমা হাবিবা আক্তার
আর্থিক সংকট মেটাতে ইসলামের ৬ নির্দেশনা
মুমিন তার আর্থিক ভবিষ্যতের ব্যাপারে উদাসীন হবে না, বরং সে মিতব্যয় ও মধ্যপন্থার সঙ্গে এমনভাবে জীবন যাপন করবে, যেন ভবিষ্যতে তাকে সংকটে পড়তে না হয়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনরা! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো; প্রত্যেকেই ভেবে দেখুক আগামীকালের জন্য সে কী অগ্রিম পাঠিয়েছে। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় করো। তোমরা যা করো আল্লাহ সে সম্পর্কে অবহিত।
’ (সুরা : হাশর,আয়াত : ১৮)
সাদ (রা.)-কে অসুস্থ অবস্থায় দেখতে যান মহানবী (সা.)। তখন তিনি তাকে বলেন, ‘তোমার পরিবার-পরিজনকে যদি তুমি সম্পদশালী রেখে যাও অথবা বলেছেন, স্বাচ্ছন্দ্যে রেখে যাও, তাহলে তা তাদের মানুষের কাছে হাতপাতা অবস্থায় রেখে যাওয়ার তুলনায় উত্তম। আর এ কথা বলতে বলতে তিনি নিজ হাত দিয়ে ইশারা করেন।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৪১০৭)
আর্থিক অনটনের ব্যাপারে সতর্কতা কাম্য :
মহানবী (সা.) ভবিষ্যৎ দারিদ্র্যের ব্যাপারে সতর্ক করে বলেছেন, ‘দারিদ্র্য মানুষকে কুফরির নিকটবর্তী করে দেয়।
’
ইমাম গাজালি (রহ.) উক্ত হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, অভাবের কারণে মানুষ কুফরিতে লিপ্ত হওয়ার উপক্রম হয়, কেননা অভাব তাকে ধনীদের প্রতিহিংসায় লিপ্ত করবে। আর হিংসা পুণ্যকে ধ্বংস করে। দীনহীন অবস্থায় পড়লে মানুষের মনমানসিকতা নষ্ট হয়। ফলে তার দ্বিন পালনের আগ্রহ হারিয়ে যায়।
এ ছাড়া দারিদ্র্যের কারণে মানুষের মনে আল্লাহ কর্তৃক বণ্টিত জীবন-জীবিকা ও ভাগ্যের প্রতি অসন্তোষ সৃষ্টি হতে পারে।
এ জন্য সুফিয়ান সাওরি (রহ.) বলতেন, ‘মৃত্যুর সময় আমার সঞ্চয়ে ৪০ হাজার দিনার থাকা অধিক পছন্দনীয় এক দিনের দারিদ্র্য ও মানুষের কাছে হাতপাতার চেয়ে।’ (ফয়জুল কাদির : ৪/৬৮৬)
আর্থিক সংকট থেকে বাঁচতে করণীয়
১. অর্থ ব্যয়ে ভারসাম্য অপরিহার্য : ইসলাম সম্পদ ব্যয়ে ভারসাম্য রক্ষার নির্দেশ দিয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘তুমি তোমার হাত তোমার গ্রীবায় আবদ্ধ করে রেখো না এবং তা সম্পূর্ণ প্রসারিতও কোরো না, তাহলে তুমি তিরস্কৃত ও নিঃস্ব হয়ে পড়বে।’ (সুরা : বনি ইসরাঈল, আয়াত : ২৯)
২. অপচয় ও অপব্যয় নিষিদ্ধ : ইসলাম অপচয় ও অপব্যয়কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা খাও এবং পান করো, অপচয় কোরো না, নিশ্চয়ই আল্লাহ অপচয়কারীকে ভালোবাসেন না।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ৩১)
৩. ধনীদের রয়েছে মানবিক দায় : নিজ প্রচেষ্টায় সব মানুষ বিপর্যয় থেকে বাঁচতে পারে না। তাই সামাজিক সুরক্ষায় ধনীদের দায়িত্ব রয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘আত্মীয়-স্বজনকে দেবে তার প্রাপ্য এবং অভাবগ্রস্ত ও মুসাফিরকেও; কিছুতেই অপব্যয় কোরো না।’ (সুরা : বনি ইসরাঈল, আয়াত : ২৬)
৪. জীবিকার অনুসন্ধান করা : কর্মতৎপর মানুষ সাধারণ জীবন-জীবিকার সংকট থেকে বেঁচে থাকে। পবিত্র কোরআনে তাদের প্রশংসায় ইরশাদ হয়েছে, ‘অপর লোকেরা পৃথিবীতে বিচরণ করে আল্লাহর অনুগ্রহ (জীবিকা) অনুসন্ধান করে।’ (সুরা : মুজ্জাম্মিল, আয়াত : ২০)
৫. সম্পদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা : সম্পদ ধ্বংস হয় এমন সব কাজ থেকে আল্লাহ বিরত থাকার নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, ‘তোমাদের সম্পদ, যা আল্লাহ তোমাদের জন্য উপজীবিকা করেছেন তা নির্বোধ মালিকদের হাতে অর্পণ কোরো না।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৫)
৬. আল্লাহর কাছে দোয়া করা : রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রত্যেক নামাজের পর দোয়া করতেন, ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে কুফরি, দারিদ্র্য ও কবরের শাস্তি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।’ (সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ১৩৪৭)
ইসলাম আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সতর্ক থাকতে বললেও মানুষকে অন্যায়ভাবে উপার্জনের অনুমতি দেয় না, বিশেষ করে হারাম উপার্জনের মাধ্যমে সম্পদ গড়তে নিষেধ করে। কেননা হারাম উপার্জনের কারণে আল্লাহ মানুষের ওপর ক্রোধান্বিত হন। ফলে মানুষের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘এমন কিছু মানুষ রয়েছে, যারা অন্যায়ভাবে আল্লাহ প্রদত্ত সম্পদে ডুবে থাকে। কিয়ামতের দিন তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের আগুন।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩১১৮)
আল্লাহ সবাইকে প্রশস্তির জীবন দান করুন। আমিন।