জাতীয়

ইন্দোনেশিয়া যাচ্ছেন-রাষ্ট্রপতি,মো. সাহাবুদ্দিন

  প্রতিনিধি ৩১ আগস্ট ২০২৩ , ৫:৩৪:২৫ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ইন্দোনেশিয়া যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন; এই সফরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির সঙ্গে জ্বালানি আমদানির বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্রপতির সফরের বিস্তারিত তুলে ধরে তিনি বলেন,৫ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় অনুষ্ঠিত হবে আসিয়ানের ৪৩তম শীর্ষ সম্মেলন এবং অষ্টাদশ পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলন।

সফরকালে রাষ্ট্রপতি আসিয়ানের শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী এবং সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন,অংশ নেবেন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের নৈশভোজে।

মোমেন বলেন,ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআরএ) সভাপতি হিসাবে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকে এই সম্মেলনে যোগদানের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো।

সম্মেলনের ফাঁকে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।

তিনি বলেন,এই সফরের দুদেশের মধ্যে জ্বালানি ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়ক দুটি সমঝোতা স্মারক সই হবে।

জ্বালানি বিষয়ক এমওইউ’র বিষয়ে এক প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,বাংলাদেশ ইন্দোনেশিয়া থেকে জ্বালানি আমদানি করে আসছে।আমদানির প্রক্রিয়াকে ‘আরও সহজতর’ করতে সই হবে এই সমঝোতা স্মারক।

দুদেশের জ্বালানি মন্ত্রণালয় জ্বালানি বিষয়ক এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় স্বাস্থ্য বিষয়ক এমওইউ সই করবে বলেও জানান তিনি।

মোমেন বলেন,সম্মেলনের সাইডলাইনে মালয়েশিয়া,পূর্ব তিমুর,ভিয়েতনামসহ আরও কয়েকটি দেশের রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানের সঙ্গেও রাষ্ট্রপতির বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে।

অন্যদের সঙ্গে অটিজম অ্যান্ড নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ রাষ্ট্রপতির সফরসঙ্গী হবেন বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।

তিনি বলেন,সম্মেলনে আসিয়ান সদস্যরাষ্ট্র এবং অংশীদার রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সহযোগিতার উন্নয়ন এবং শক্তিশালীকরণ নিয়ে আলোচনা করা হবে।

“এই সম্মেলনে আসিয়ান মেরিটাইম আউটলুক,আসিয়ান ইন্দো প্যাসিফিক আউটলুক এবং মিয়ানমার সম্পর্কিত ইস্যু নিয়ে আলোচনা করা হবে।শীর্ষ সম্মেলনে আসিয়ান সচিবালয়, আইওআরএ এবং প্যাসিফিক আইল্যান্ডস ফোরামের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে।”

আসিয়ান সম্মেলনের উদ্দেশ্য তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ৪৩তম আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে অভ্যন্তরীণ শান্তি বজায় রেখে একটি মর্যাদাপূর্ণ আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করা।

“বৈশ্বিক মন্দা ও চলমান ভূরাজনৈতিক সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থনেতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করে আসিয়ানকে বিশ্বের কাছে টেকসই প্রবৃদ্ধির চালিকাশক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে ইন্দোনেশিয়া কাজ করবে।এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্বের ৫ম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে আসিয়ান সহযোগিতাকে আরও বেগবান করার জন্য আসিয়ান সভাপতির দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।“

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসন নিশ্চিতকরণে আসিয়ানের বন্ধুপ্রতীম সরকারগুলোকে অধিকতর সক্রিয় ও কার্যকর সহযোগিতার আহ্বান রাষ্ট্রপতি জানাবেন।

আরও খবর

Sponsered content