শিক্ষা

সহকারী শিক্ষক পদোন্নতি না পেয়েই প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম

  প্রতিনিধি ৪ এপ্রিল ২০২৪ , ৫:৫০:০৪ প্রিন্ট সংস্করণ

অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট।।সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ১৬ বছর একজন সহকারী শিক্ষক ছিলেন মো. নজরুল ইসলাম।কিন্তু প্রধান শিক্ষকের পদ শূণ্য থাকায় প্রায় এক বছর তিনি নেত্রকোণা পূর্বধলার জাওয়ানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন।তবে সহকারী শিক্ষক থেকে নিজেই প্রধান শিক্ষক বনে যাওয়া মো. নজরুল ইসলাম জানান,বুঝতে পারিনি,ভুল হয়েছে।

এদিকে সম্প্রতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকদের অনলাইনে বদলি আবেদনের নির্দেশনা জারি হয়।চলতি বছরের ৩১ মার্চ ও ১ এপ্রিল আবেদনের সময়সীমা নির্ধারিত ছিলো।কিন্তু দেখা গেলো পদবীতে যিনি সহকারী শিক্ষক,পদোন্নতি না পেয়েও তিনি হয়ে গেলেন প্রধান শিক্ষক।আইপিইএমআইএস (ইনটিগ্রেটেড প্রাইমারি এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম) ডাটাবেজ সফটওয়ারে বিধি-বহির্ভুতভাবে নিজেই নিজেকে প্রধান শিক্ষক পদবী লিপিবদ্ধ (এন্ট্রি) করেন জাওয়ানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম।ফলে প্রধান শিক্ষক পদটি শূণ্য না থাকায় এ বিদ্যালয়ে বদলির হয়ে আসার ইচ্ছা থাকলেও অনেকে অনলাইনে আবেদন করতে পারেননি।

এ বিষয়ে জাওয়ানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম বলেন,ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালনের সময় ডাটাবেজের পাসওয়ার্ড কম্পিউটার দোকানে দিয়ে আসতে হয়।প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় অনেক কাজ ও ঝামেলা পোহাতে হয়।তাই কেন এই কাজটি আমি করবো।ইচ্ছেকৃতভাবে ভুল করেনি। কিভাবে যে হয়ে গেছে তাও বুঝতে পারেনি।ডাটাবেজের নিরাপত্তায় এর পাসওয়ার্ড অতি গোপনীয়তা বজায় রাখা সরকারি বিধান রয়েছে,তা লঙ্ঘন হওয়া ও একপর্যায়ে ডাটাবেজে এন্ট্রি করার বিষয়টি তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন।

পূর্বধলার প্রাথমিক শিক্ষক কর্মকর্তা মো. মফিজুল হক জানান,এখানে নতুন এসেছি।এ ভুলটি এক বছর আগেই হয়েছে।ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম নিজেই এই কাজটি করেছেন।সম্প্রতি অনলাইন বদলির সময় বিষয়টি ধরা পড়েছে।সহকারী শিক্ষক বিধি মোতাবেক কাজটি করেননি। কেন করা হয়েছে তা জানতে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কর্তৃক পত্র প্রেরণ প্রক্রিয়াধীন।

আরও খবর

Sponsered content