আরো

বিশ্বের মার্সিডিজ গাড়ি এখন বাংলাদেশে

  প্রতিনিধি ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৬:০৭:০৬ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।জার্মান প্রযুক্তিতে নির্মিত মার্সিডিজ-বেঞ্জ ও এফ ১৬২৩ বাস চ্যাসিস বাজারজাত শুরু করলো র‍্যানকন ট্রাকস অ্যান্ড বাসেস লিমিটেড।

গত শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে উন্মোচিত হলো মার্সিডিজ-বেঞ্জ ও এফ ১৬২৩ বাস চ্যাসিসটি, যা মিলবে দুটি প্রকারভেদে।

এ বাস চ্যাসিসটি মার্সিডিজ-বেঞ্জের সবচাইতে নির্ভরযোগ্য ইঞ্জিন ও এম ৯০৬ দ্বারা নির্মিত,যা ছয় সিলিন্ডার ৬৩৯৩ সি সি এবং ৮১০ এন এম @ ১৬০০ আর পি এম টৰ্ক উৎপন্ন করতে সক্ষম।এছাড়া চ্যাসিসটি ২৩০ হর্স পাওয়ার সম্বলিত।

থাকছে প্যারাবোলিক ও এয়ার সাসপেনশনের সুবিধাও।
চ্যাসিস উন্মোচনের সময় র‍্যানকন ট্রাকস অ্যান্ড বাসেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রোমো রউফ চৌধুরী বলেন, উন্নয়ন ও প্রগতিশীল দেশের জন্য এ চ্যাসিসটি হবে সেরা।

ভোক্তাদের আরাম ও নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে আজ আমরা দুই প্রকারের বাস নিয়ে এসেছি।শুধু আরাম ও নিরাপত্তাই নয়,এ চ্যাসিসে মিলবে অধিক জ্বালানি সাশ্রয়।

আমরা আশাবাদী বাংলাদেশে এ চ্যাসিসটি নতুন এক অধ্যায় সূচনা করতে যাচ্ছে।

বাসটির সম্পর্কে আরও জানান র‍্যানকন ট্রাক্টস অ্যান্ড বাসেসের নির্বাহী পরিচালক সুলতানুজ্জামান স্বজন।

তিনি বলেন,মার্সিডিজ-বেঞ্জ বাস সমগ্র পৃথিবীতে ১২৮ বছর ধরে বিশ্বসেরা বাস চ্যাসিস প্রস্তুত করে আসছে এবং বাংলাদেশে এর মান কোনো অংশে কম নয়।আমাদের চ্যাসিসটিতে প্রপেলার শেফতারের সঙ্গে রিটার্ডর সংযুক্ত থাকার কারণে এটি অধিক নিরাপদ ও ব্রেক দীর্ঘায়ু করে এবং ই সি উ নিয়ন্ত্রিত,উচ্চ চাপ (১৮০০ বার) ইউনিটাইস্ড পাম্প ইনজেকশন জ্বালানি অটোমাইজেশন বৃদ্ধি করে জ্বালানি সাশ্রয় করে।ইঞ্জিন মাউন্টেড কম্প্রেসারের শব্দ এবং কম্পন হ্রাস করে।

এছাড়া চ্যাসিসটিতে থাকছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি যেমন ইন্টারেক্টিভ ড্যাশবোর্ড,যা ই সি উ দ্বারা নিরীক্ষণ করা সংকেতগুলো প্রদর্শন করে,যা যেকোনো পরিস্থিতিতে গাড়িটিকে নিরাপদ রাখে। তাছাড়া এ বাহনে থাকবে স্পিড লক,যা গতিসীমা বজায় রাখতে সক্ষম।

জ্বালানি সাশ্রয়ের ক্ষেত্রে আমাদের চ্যাসিসগুলো হবে অতুলনীয় কারণ প্রতিটি সিলিন্ডারের আলাদা আলাদা ফুয়েল পাম্প থাকায় বাতাস ও জ্বালানি মিশ্রণ সঠিক হয়,যা অধিক জ্বালানি সাশ্রয় করতে সহায়তা করে। শুধু তাই নয়,যাত্রী নিরাপত্তা ও অমসৃণ রাস্তায় ঝাঁকিবিহীন যাত্রা নিশ্চিত করবে এয়ার সাসপেনশন।

চ্যাসিসের আয়ুকাল প্রশ্নে তিনি বলেন,নিঃসন্দেহে এ চ্যাসিস চলবে দীর্ঘ সময়। ১ লাখ কিলোমিটার ওয়ারেন্টি এবং উচ্চমানের চ্যাসিস ফ্রেম, সাসপেনশন ও ব্রেক সবচেয়ে কঠিন ড্রাইভিং পরিস্থিতিতেও কম রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন পড়ে। তাছাড়া পাউডার প্রলিপ্ত চ্যাসিস ফ্রেম কঠোর পরিবেশে সহনশীল ও দীর্ঘ সময় মরিচা মুক্ত থাকে।

বর্তমানে র‍্যানকন ট্রাক্টস অ্যান্ড বাসেসের সব শো-রুমে এ চ্যাসিসগুলো পাওয়া যাবে এবং সারা দেশব্যাপী মিলবে আফটার সেলস সার্ভিস ও পার্টস। সব প্রতিকূল পরিবেশে থাকছে মোবাইল সার্ভিস টিম।ভবিষ্যতে আসবে আরও অনেক ভিন্ন মডেল,যা বদলে দেবে বাংলাদেশের পরিবহন শিল্পকে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- র‍্যানকন ট্রাকস অ্যান্ড বাসেসের লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রোমো রউফ চৌধুরী, বিভাগীয় পরিচালক শোয়েব আহমেদ,নির্বাহী পরিচালক সুলতানুজ্জামান স্বজন,প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাদিকুল মোস্তাক,ভাইস প্রেসিডেন্ট ডাইমলার ট্রাক (সাউথ ইস্ট এশিয়া) ক্রিস্টোফ স্টেম্মার,জেনারেল ম্যানেজার ডাইমলার ট্রাক (সাউথ ইস্ট এশিয়া) সাতটিয়াম প্রকাশসহ আরো অনেকে।

আরও খবর

Sponsered content