আরো

পরোপকারী ও সাহসী যোদ্ধা আনসার সদস্য জেসমিন

  প্রতিনিধি ১১ অক্টোবর ২০২২ , ১১:৪৮:১৫ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।জেসমিন আক্তার রূপসা উপজেলার ঘাটভোগ ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী আনন্দনগর গ্রামের সম্ভ্রান্ত লস্কর পরিবারে ২৯ ডিশেম্বর ১৯৮৭ সালে জন্ম গ্রহন করেন। তার পিতার নাম আঃ সাত্তার লস্কর এবং মাতার নাম আরোজা বেগম।

ছোটবেলা থেকেই জেসমিন পরোপকারী ও অত্যাধীক সাহসী কতার সাথে সমাজে চলাফেরা করেণ। ২০১৮ সালের ২২ আগস্ট জেসমিন আক্তার বাংলাদেশ আনসার বাহিনির সদস্য হিসেবে যোগদান করে দেশের ভিবিন্ন গুরুত্বপুর্ণ সেবা করে চলেছেন।

তারপরও থেমে নেই মানবসেবা। সে যেন গরিব অসহায় মানুষের আশ্রয়স্থল একটি মানুষের উপকারের জন্য সকাল থেকে রাত অব্দি ছুটে বেড়ান। কখনও অ-সুস্থ ব্যাক্তিকে নিয়ে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে, কখনও প্রসাব বেদনায় কাতর প্রসূতি মায়ের সেবায় জেসমিন সরব থাকেন।

তাছাড়া বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধি, ভিজিডি, ভিজিএফের আওতাভুক্ত গরীব মানুষের উপকারের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরুকরে ভিবিন্ন সরকারি দপ্তরে ছুটেবেড়ান জেসমিন। কর্মস্থলে সহপাঠীদের মাঝেও রয়েছে সাহসীকতার অপ্রতিদ্বন্দ্বী মাইল ফলক।

সম্প্রতি জেসমিন রূপসা নদী ট্রলার যোগে পার হওয়ার সময় ট্রালারের ইন্জিলের সংগে পেছিয়ে মৃত্যু পথযাত্রী বয়স্ক মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার পর বৃদ্ধার বাড়ি তাকে পৌছে দিয়ে আলোচনায় আসেন।

একারণে জেসমিন ২০২১ সালে উপজেলা পরাযায়ে জয়ীতা নারী হিসেবে বেগম রোকেয়া এওয়ার্ড প্রাপ্ত হন। তাছাড়া ০৮/ ১১ / ২০২১ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রূপসা উপজেলার আইচগাতী ইইনিয়নের একটি কেন্দ্র সন্ত্রসী কর্তৃক আক্রান্ত হলে কয়েক জন পুলিশ গুরুতর আহত হয়। এবং ভোট ডাকাতি কালে এলাকায় ভিতি সৃষ্টি করে তখনই জেসমিন পিজাইডিং অফিসার বাপী কুমার দাসের নির্দেশে নিজের জিবনকে তুচ্ছজ্ঞান করে সন্ত্রসী বাহিনীর উপর ঝাপিয়ে পড়ে ভোটকেন্দ্র রক্ষা ও সন্ত্রসী কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। এ সময় ভোট কেন্দ্রে ১৭ জন আনসার বাহিনির সদস্য সহ অর্ধশত আইন শৃংখলা বাহিনির সদস্য নিয়োজিত ছিল।

আরও খবর

Sponsered content